ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

রেস্তোরাঁর মেন্যুতে ভিন্নধর্মী মুখরোচক স্ন্যাকস

রেস্তোরাঁর মেন্যুতে ভিন্নধর্মী মুখরোচক স্ন্যাকস

শহরের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে থিম ক্যাফে। যেখানে কফির কাপ হাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। আর সঙ্গে থাকে মুখরোচক স্ন্যাকস। নতুন প্রজন্মের কাছে থিম ক্যাফের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তবে, কনডম ক্যাফের জনপ্রিয়তার কাছে ফিকে সব ধরনের রেস্তোরাঁ। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। কনডম ক্যাফে। যে ক্যাফের থিম কনডমকে কেন্দ্র করে। পুরো ক্যাফে সাজানো হয়েছে কনডম দিয়ে, তার ক্যাফের নাম হল ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’। ভাবছেন, এমন ক্যাফে কোথায় অবস্থিত?

পর্যটনের দেশ থাইল্যান্ডে গড়ে উঠেছে কনডম ক্যাফে। ক্যাফের অন্দরে থাকা বিভিন্ন সজ্জা-সরঞ্জাম তৈরি কনডম। ক্যাফের প্রতিটা কোণায় রয়েছে যৌনতার ছোঁয়া। ঝুলন্ত বাতি থেকে সান্তাক্লজের দাড়ি- সব কিছু তৈরি হয়েছে রং-বেরঙের কনডম দিয়ে। এমনকি যে টেবিলে বসে আপনি কফি খাবেন, সেখানে রয়েছে রঙিন কনডম। মেন্যুতে খাবারের নামে পাশে রয়েছে কনডম লেখা। আর খাওয়া-দাওয়া সেরে মুখশুদ্ধির জন্য এখানে মৌরি নয়, কনডমই তুলে দেওয়া হয় গ্রাহকদের হাতে।

সুরক্ষিত যৌনমিলন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গড়ে উঠেছে ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’। এখনও মানুষ যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে কিন্তু বোধ করেন। তাই যৌনতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই কনডম ক্যাফে খোলা হয়েছে ব্যাংকক শহরে। যৌনতা নিয়ে যাবতীয় ছুঁতমার্গ যাতে দূর হয়ে যাক, এটাই ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’-এর উদ্দেশ্য।

রেস্তোরাঁ রয়েছে একটি ছেলে ও মেয়ের মূর্তি। আর রয়েছে একটা সান্টাক্লজ। এসব মূর্তিগুলো তৈরি লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি, সাদা কনডম দিয়ে। এই রং-বেরঙের কনডমের ছোঁয়া রয়েছে ক্যাফের অন্যান্য জিনিসপত্রেও। ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’-এ রয়েছে কনডমের তৈরি ফুলদানি, ল্যাম্পশেড ইত্যাদি। লাখ লাখ কনডম দিয়েই মোড়া পুরো ক্যাফে। এখানেই শেষ নয়। ক্যাফের দেওয়ালে ঝোলানো রয়েছে বিভিন্ন ছবি, পোস্টার। সেখানে উল্লেখ রয়েছে ‘কনডম’।

কনডমের জন্যই জনপ্রিয় ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’। তবে এই ক্যাফের খাবারও খুবই সুস্বাদু। কনডম ক্যাফেতে মূলত থাই ফুড পাওয়া যায়। আপনি যদি থাইল্যান্ড বেড়াতে গিয়ে অথেন্টিক থাই ফুডের স্বাদ নিতে চান, তাহলে যেতে পারেন এই ক্যাফেতে। এছাড়া কফি, চকলেট, আইসক্রিমও পাওয়া যায় এখানে। আর খাওয়া-দাওয়া সেরে বেরোনোর সময় বিনামূল্যে দেওয়া হল একটা করে কনডম।

এমন অভিনব ক্যাফে আগে দেখেনি থাইল্যান্ডবাসী। গোটা বিশ্বে কনডম থিমে ক্যাফে হিসেবে প্রথম নজর কেড়েছে ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’। তাই তো গোটা দুনিয়ায় এখন ভাইরাস ‘কনডম ক্যাফে’। থাইল্যান্ডে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে ‘ব্লগারদের অ্যান্ড কনডম’-এর। ভারতীয় ট্রাভেল ব্লগারদের রিলসে দেখা যাচ্ছে কনডম ক্যাফের ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কনডম’-এর সাজসজ্জা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত