সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা

যমুনায় পানি বৃদ্ধি : ঘূর্ণাবর্তে স্পারের ৪০ মিটার ধস

ধস ঠেকাতে ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ১নং সলিড স্পার বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার ধস নেমেছে। গতকাল ভোরে প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে স্পারের এ অংশ যমুনা গর্ভে চলে যায়। এতে স্পার এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। এ কারণে গতকাল ভোরে ওই স্পারের প্রায় ৪০ মিটার অংশ ধসে গেছে। এ ধস ঠেকাতে সকাল থেকেই সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে এ ভয়াবহ ধস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে কাজিপুর উপজেলাকে রক্ষার জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে বিপুল টাকা ব্যয়ে মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার এ স্পার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ ও ২০১৩ সালে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যাওয়ার পরবর্তীতে মাটির অংশ রক্ষায় সিসি ব্লক ফেলা হয়। স্পারের সেই অংশের ৪০ মিটার ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা থাকবে। স্থানীয় বিশিষ্টজনরা বলছেন, ওই স্পার বাঁধ একেবারে ধসে গেলে কাজিপুর থানা, উপজেলা খাদ্য গুদাম, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, স্পারের ধস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন আতঙ্কের কিছু নেই বলে আশা করছি। এদিকে স্পার ধসের সংবাদে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী অফিসার কাজী অনিক ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনান্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক স্পারের এই ধস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা ও কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।