জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শাখার অফিস পিয়নের (অস্থায়ী) বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই পিয়ন উধাও। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকের ওই শাখায় প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক তাদের জমাকৃত অর্থ একাউন্টে না পেয়ে গতকাল সকালে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানায়, শাহজাদপুর পৌর এলাকার পাড়কোলা মহল্লার মৃত নুরুল আকন্দের ছেলে পিয়ন (অস্থায়ী) রঞ্জু আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকে আগত গ্রাহকদের সহযোগিতার কথা বলে আসছিল এবং তাদের জমাকৃত অর্থ নিজের কাছে রেখে ব্যাংকের সিল স্বাক্ষর দিয়ে রিসিভ কপি গ্রাহককে দিত। এমনকি গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে আসলে চেক জমা রেখে নিজের টাকা দিত। ওই পিয়ন রহস্যজনক কারণে ব্যাংকের মূল ফটকে চেয়ার, টেবিল নিয়ে বসে গ্রাহকদের সঙ্গে অর্থ লেনদেন করলেও কেউ প্রতিবাদও করেনি। এ কৌশলে বিভিন্ন প্রবাসীদের লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমার কথা বলে নিজের কাছে রাখত। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সে নিজেকে একজন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তার আত্নীয় পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালাত। এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখা ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ওই পিয়ন ব্যাংকের নকল সিল তৈরি করে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে এ অপকর্ম করেছে। জনতা ব্যংকের এরিয়া অফিস সিরাজগঞ্জের ডিজিএম জাহিদুল আলম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই অস্থায়ী পিয়ন রঞ্জু গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং সে এখন উধাও। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করা হয়েছে। এরইমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারক রঞ্জুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।