ঢাকা ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইনি জটিলতা

মহাসড়কের ৪৫০ মিটার ফোর লেনের কাজ বন্ধ

মহাসড়কের ৪৫০ মিটার ফোর লেনের কাজ বন্ধ

আইনি জটিলতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুষ্টিয়ার অধীন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ হচ্ছে না সহসা। কুষ্টিয়ার জগতি মৌজার বিআরবি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে ৯৯ শতক জমি নিয়ে উচ্চ আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ৪৫০ মিটার রাস্তা নির্মাণে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই স্থানের কাজ বন্ধ রয়েছে। কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খাঁন জানান, ওই স্থানের জমি জেলা পরিষদ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। যে কারণেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুষ্টিয়া ওই স্থান দিয়ে ফোর লেনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কাজ চলাকালে মো. রেজাউল হক ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইনের মাধ্যমে যদি ওই জায়গা আমরা পাই তাহলে বন্ধ ৪৫০ মিটার রাস্তার নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হবে। যেহেতু হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেহেতু আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। তিনি বলেন, আমাদের প্যানেল আইনজীবীরা এ বিষয়ে হাইকোর্টে কাজ করছেন। হাইকোর্টে আদেশ পেলে ব্যবস্থা নিব। এদিকে জমির মালিক মো. রেজাউল হক বলেন, এই ৯৯ শতক জমির দাবি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০০৩ সালে আমার পিতা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সে সময় ওই মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে জেলা জজ আদালতে আপিল করা হলে সেখানেও মামলা খারিজ হয়ে যায়। এক পর্যায় ২০১৮ সালে এই আপিল মামলা হাইকোর্টেও খারিজ হয়ে যায়। ২০২১ সালের ১২ মে তারিখে মো. রেজাউল হক তাদের ৯৯ শতক জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ না করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুষ্টিয়াকে চিঠি দেন। তার পরেও ওই দপ্তর তাদের চিঠিকে অবজ্ঞা করে জোরপূর্বক ফোর লেনের কাজ শুরু করে। ঘটনা জটিল হয়ে পড়লে মো. রেজাউল কুষ্টিয়া সদর সহকারী জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে এখানে তারা ন্যায়বিচার না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সে সময় হাইকোর্ট তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিন মাস পার হয়ে গেলে পর পর তিন দফায় এক বছর করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত