সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সাতটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করায় বরাদ্দের দ্বিগুন প্রায় পৌনে ৯ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এ টাকা এরই মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১০-১১ অর্থবছরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের (টিআর) মধ্যে সাত প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এসব প্রকল্প তদন্ত করা হয়। এ তদন্তে অনিয়মণ্ডদুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য প্রকল্পের সভাপতিদের কাছ থেকে এ প্রকল্প বরাদ্দের দ্বিগুণ টাকা আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশ অনুযায়ী উল্লেখিত টাকা সরকারি কোষাগারে প্রদান করেন প্রকল্প সভাপতিরা। এসব প্রকল্পের সভাপতি ওই উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মজিবর রহমানের কাছ ৫৬ হাজার ৫ টাকা, বাঙ্গালা ইউনিয়নের আব্দুল লতিফের কাছ থেকে বরাদ্দের দ্বিগুন ৬৫ হাজার ২৯১ টাকা, সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে ৮৭ হাজার ৫৩ টাকা, আবু হানিফের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ৫ টাকা, হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ইমদাদুল হকের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৭৭ টাকা, সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ৮৭ হাজার ৫৩ টাকা ও সলঙ্গা ইউনিয়নের ছাকোয়াত হোসনের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া আরো তিনটি প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জ্বল হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ওই অর্থ বছরের সাতটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। অনিয়ম দুর্নীতির এসব টাকা প্রকল্প সভাপতি আত্মসাৎ করেছিলেন। বিশেষ তদন্তসাপেক্ষে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের উল্লেখিত দ্বিগুন টাকা আদায় করা হয়েছে এবং এ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।