ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। নানা পরিষেবা হচ্ছে ডিজিটাল। এক্ষেত্রে সুবিধা যেমন আছে, তেমনি আছে ঝুঁকিও। সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ডিজিটাল দুনিয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই ডিজিটাল মাধ্যম সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন না। ফলে অরক্ষিত থেকে যায় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য। যেকোনো ব্যক্তিগত তথ্যফাঁস হওয়া এক ধরনের ঝুঁকি। তাই এমন ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যায় তা জানা জরুরি। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
ইন্টারনেট সম্পর্কে জ্ঞান : ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। এর মাধ্যমে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তা আগে থেকে জানতে হবে। এ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী বিপদে পড়েন। ইন্টারনেটে যদি কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পান, তবে সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
বন্ধু নির্বাচন : অনলাইনে নতুন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এই বন্ধুদের মধ্যে এমন কেউ থাকতে পারেন যিনি পরবর্তী সময়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অনলাইনে অপরিচিত কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। ঠিকমতো না জেনে কাউকে বন্ধু বানাবেন না।
সতর্ক হোন : ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের বিষয়ে সতর্ক হোন। অজ্ঞতার কারণে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে যা বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
ব্যক্তিগত তথ্যযুক্ত ছবি : বিনা প্রয়োজনে কোথাও জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ছবি আপলোড করবেন না। এসব ছবিতে ব্যক্তিগত তথ্য উল্লেখ থাকে। এমন ডকুমেন্ট কোথাও সংরক্ষণ করলেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড : তথ্য সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা জরুরি। অনেকে নাম বা মোবাইল নম্বর পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। এগুলো খুব দ্রুত হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অনলাইন ফিশিং : অনেকেই ফিশিং-এর পাল্লায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই ক্ষতি এড়াতে ইমেইল কিংবা মেসেজে পাওয়া অপরিচিত কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। কোনো ধরনের প্রলোভনেও পড়বেন না। উপহার, অর্থের লোভ দেখানো বেশিরভাগ লিংকই ফিশিং-এর হয়ে থাকে।
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার : ম্যালওয়ার-র্যনসমওয়ার জাতীয় ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ (ডাটা ব্যাক-আপ) করুন। এর পাশাপাশি ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন আপডেটেড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
ডাউনলোডে সতর্ক : নানা প্রয়োজনে আমরা ফাইল, তথ্য বা আপডেট ডাউনলোড করি। এক্ষেত্রে কোথায় থেকে ডাউনলোড করছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন।