সুসংবাদ প্রতিদিন

কালীগঞ্জে মালবেরি চাষে সাফল্য

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এখন চাষ হচ্ছে উচ্চমূল্যের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ বিদেশি ফল মালবেরি। কিছু সবুজ, কিছু লাল আর কিছু পেকে কালো হয়ে গেছে। পাতার চেয়ে ফলই যেন বেশি। পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন দেশের তিনটি জাত সংগ্রহ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের মো. মোস্তফা মোল্লা। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলেও ভালো ফলন দেখে বাণিজ্যিকভাবে চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি। জানা গেছে, মোস্তফার মালবেরি গাছগুলোর পাতা ডিম্বাকার, চমৎকার খাঁজযুক্ত আর সুচালো অগ্রভাগ। খুব সহজে ছাদেও চাষ করা সম্ভব। আকারে আঙুরের চেয়ে কিছুটা ছোট এ ফল। প্রথমে ফলটি থাকে সবুজ, পরে লাল হয় ধীরে ধীরে। সম্পূর্ণ পেকে গেলে তা কালো রং ধারণ করে। দেখতে আকর্ষণীয় এ ফল পাকলে রসাল ও টক-মিষ্টি স্বাদের। প্রতিটি গাছ থেকে ৮-১০ কেজি সংগ্রহ করা যায়। তৈরি করা যায় চারাও। মালবেরি চাষ সম্পর্কে কৃষক মোস্তফা বলেন, ‘ফলটি বিদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ এবং বাজারজাত করা হয়। বাজারে এর চাহিদাও ব্যাপক। আমি পরীক্ষামূলকভাবে থাইল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তান থেকে তিনটি জাত সংগ্রহ করে চাষ করেছি। পরীক্ষামূলক হলেও প্রতিটি গাছেই প্রচুর ফল ধরেছে।’ তিনি বলেন, ‘মালবেরি চাষে রোগবালাই খুবই কম। কীটনাশক তেমন লাগে না। উৎপাদন খরচও কম। শুধু জৈব সার দিলে প্রায় সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। মোস্তফা আরো বলেন, ‘আমি ২৫টি চারা দিয়ে শুরু করি। তখন ৩০০ টাকা করে চারা কুরিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করি। তবে আমি বেশি দামে চারা কিনলেও এখন তা মাত্র ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে গাছ লাগানোর পরের মাসেই ফল পাওয়া যায়।’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মালবেরি অর্থাৎ তুঁত ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁঁত ফল উপকারী। এছাড়া পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস পিত্ত, দাহ, কফ ও জ্বর নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক। এটি ঠান্ডা লেগে জ্বর কিংবা কাশি হলে অত্যন্ত উপকারী।’ কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘মোস্তফা মোল্লা একজন সফল খামারি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সবুজ ঘাস চাষ করেন। পাশাপাশি শখের বসে তিনটি জাতের ২৫টি মালবেরি চারা রোপণ করেন। প্রতিটি গাছ থেকে ৮-১০ কেজির মতো ফল পাওয়া যাবে। তবে এ উপজেলার মাটি মালবেরি চাষের জন্য কতটুকু উপযোগী এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গবেষণা করছে।’