স্মার্ট ক্যাম্পাসে প্রবেশ
সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এলো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হোসেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতায় আসছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরিসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও ক্যাম্পাসের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজস্ব বাজেট থেকে ক্রয় করা হয়েছে ৩২৫টি সিসি ক্যামেরা। ৪৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্রয়কৃত হিক ভিশন ক্যামেরাগুলো এরইমধ্যে লাগানো শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইন্টিমেসি কম্পিউটার অ্যান্ড সল্যুশনস। আইপিনির্ভর এই ক্যামেরাগুলো লাগানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ও নির্মাণাধীন প্রশাসনিক ভবন, প্রতিটি বিভাগ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। এরমধ্যেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে স্থাপন করা হয়েছে ৪০টি ক্যামেরা। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাকি ভবনগুলোতেও সিসিক্যামেরা স্থাপন শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
অনেকেই মনে করছেন এর মাধ্যমে স্মার্ট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। চুরি, ছিনতাই, অপহরণসহ যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কমে আসবে বলেও প্রত্যাশা করছেন। অপরাধী যদি বুঝতে পারে, অপরাধ সংঘটনের পরবর্তী সময় অপকর্মের জন্য তাকে গ্রেপ্তার হতে হবে এবং উপযুক্ত শাস্তির নিশ্চয়তা রয়েছে, তাহলে অপরাধীরা নিরুৎসাহ বোধ করবেন।
এ সম্পর্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সামিউল হক হিমেল বলেন, এমন সময় উপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাম্পাস গঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সিসিটিভি ক্যামেরার কারণে চুরি, ছিনতাই কমে যাবে। আমরা দেখেছি ওয়াশরুমের ট্যাপ চুরি, রুমের ফ্যান চুরি ও হলের টেলিভিশন ভেঙে গেলেও অপরাধী শনাক্ত করা যায়নি। এখন সিসিটিভির আওতায় আসায় সহজে অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে। এতে করে সাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ কমে যাবে। আমাদের নিরাপত্তা আরো বেড়ে যাবে। লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সজীব ভদ্র বলেন, ধন্যবাদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর স্যারকে পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য। তিমির ও স্থবিরতা কাটিয়ে আসুক আলো ও গতির সাইক্লোন। উপাচার্য স্যারের সুদক্ষ নেতৃত্বে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হোক স্মার্ট ক্যাম্পাস এবং নন্দনকানন হোক নজরুল তীর্থ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউজ টিউটর সহকারী অধ্যাপক মো. তারিফুল ইসলাম বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে আমরা স্মার্ট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলাম। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখন কমে যাবে। আমাদের বঙ্গবন্ধু হলে ৪০টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়া আগে থেকেই টেলিভিশন কক্ষে একটি ক্যামেরা ছিল। সব মিলিয়ে ৪১টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো হল এখন আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে বলেন, আমি আসার পর শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন মোটোকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। স্মার্ট করার জন্য আমরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে একটি আধুনিক ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে চাই। আমি স্বপ্ন দেখি ক্যাম্পাসে কোনো দারোয়ান থাকবে না। ক্যাম্পাস অভয়ারণ্য হবে, যেখানে ছেলে-মেয়েরা অবাধে চলাচল করবে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আনন্দের সঙ্গে যে যার মতো কাজ করবে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা পুরো ক্যাম্পাসে সাধারণ জায়গাগুলোতে স্থাপন করছি, যাতে সবকিছু রেকর্ড অবস্থায় রাখা যায়। ব্যক্তিগত জায়গাগুলো আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনব না। ধীরে ধীরে ক্যামেরার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।