শীর্ষ নির্বাচনি সংস্থা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অবমাননার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। গতকাল মঙ্গলবার একই মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই চেয়ারম্যান ছাড়াও দেশটির সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর আগে, নির্বাচনি সংস্থা ও সিইসিকে অবমাননার মামলায় পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও তার সাবেক ঘনিষ্ঠ রাজনীতিকদের তলব করা হলেও হাজির হননি তারা। পরে দেশটির নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ ইমরান খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেন। গত বছর দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সিইসির বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে পিটিআই প্রধানসহ দলটির সাবেক মহাসচিব আসাদ উমর ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইসিপি। পরে ইসিপি সদস্য নিসার দুররানির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বেঞ্চে হাজির হয়ে ইমরান খান ও অন্যদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কয়েক দফায় নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু পিটিআই নেতারা ইসিপির বেঞ্চে হাজির হননি। এর পরিবর্তে দেশটির উচ্চ আদালতে নির্বাচন আইন ২০১৭ এর ১০ ধারার আওতায় ইসিপির অবমাননার মামলা দায়েরের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন পিটিআই নেতারা।