ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেস্তোরাঁ

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেস্তোরাঁ

শহুরে জীবনে বেড়ানো আর খাওয়া একসঙ্গে পেতে অন্যতম জায়গায় হচ্ছে রেস্তোরাঁ। বিশেষ করে জমকালো রেস্তোরাঁগুলোতে যুগলদের ভিড়-ভাট্টাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পাতে পছন্দের খাবার, আর সঙ্গে কাছের মানুষ- এমন মধুর সময় কাটাতে সবাই প্রায় মুখিয়ে থাকেন। তবে অনেক সময়ই অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মনের মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো যায় না বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। একটু নিরিবিলি অথচ ভালো- এমন রেস্তোরাঁয় যেতে চান যুগলরা। তাদের জন্যই রয়েছে খুবই বিশেষ একটি রেস্তোরাঁ। দেখে মনে হবে যেন বাড়ির ছোটখাটো বৈঠকখানা। ছোট একটি ঘর। সেখানে সযত্নে সাজানো নানা ধরনের আসবাব, ছবি। মধ্যে রয়েছে একটি খাবার টেবিল। যেখানে মাত্র দুটি চেয়ার রাখা। শুধু দুজনের জন্য বসার ব্যবস্থা। চারপাশে অন্য কোনো টেবিল নেই। অর্থাৎ, শুধু দুজনই রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন।

ভাবছেন নিশ্চয়ই এ আবার কেমন রেস্তোরাঁ! মাত্র দুজনই রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন! হ্যাঁ, এমনই এক খানাপিনার জায়গা রয়েছে ইতালিতে। দেশটির রাইটি এলাকায় রয়েছে এই ছোট রেস্তোরাঁ। যার নাম ‘সোলো পার দিউ’। ইতালিতে যার অর্থ ‘শুধু দুজনের জন্য’। ‘সোলো পার দিউ’-ই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রেস্তোরাঁ; এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। মাত্র ৫০০ বর্গফুটেরও কম এলাকাজুড়ে রয়েছে এই রেস্তোরাঁ। নিভৃতে-নির্জনে একান্তে যাতে দুজনে সময় কাটাতে পারেন, সে কারণেই এমন ব্যবস্থা। এই রেস্তোরাঁয় গেলে কেউ আপনাকে বিরক্ত করবেন না। মনে হবে যেন, বাড়ির বৈঠকখানায় বসে রয়েছেন। তবে এই রেস্তোরাঁয় বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। রেস্তোরাঁয় চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। যুগলের ব্যক্তিগত মুহূর্ত যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে সর্বদা নজর থাকে রেস্তোরাঁ কর্মীদের। রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যায় ফোনে বুকিং করা যাবে। তবে যে দিন রেস্তোরাঁয় যাবেন, তার ১০ দিন আগে বুকিং প্রক্রিয়া সারতে হয়। কী কী খাবার থাকছে, তা বুকিং নিশ্চিত করার সময় জানানো হয়। সাধারণত রেস্তোরাঁয় প্রবেশের মুখে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য কর্মীরা থাকেন। এই রেস্তোরাঁয় কিন্তু তেমন কেউ নেই। রেস্তোরাঁয় চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। এমনকি, রেস্তোরাঁ বুকিং না করলে সেখানকার কর্মীদের নাম জানতে পারবেন না। রেস্তোরাঁটি ছোট হওয়ায় চাহিদাও তুঙ্গে। তাই কয়েক মাস আগে থেকেই ওই রেস্তোরাঁ বুক করেন অনেকে। তবে এই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য খরচও নেহায়েত কম নয়। দুজনের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। রেমো নামে রেস্তোরাঁর মালিক সিএনএনকে বলেছেন, ‘রেস্তোরাঁয় যারা আসেন, তাদের আমরা ক্রেতার চোখে দেখি না। অতিথি হিসেবে আপ্যায়ন করি। ওয়েটারকে না ডাকলে তিনি অতিথিদের কাছে যান না।’ প্রকৃতির মনোরম পরিবেশের মধ্যে নির্জনে প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা এই রেস্তোরাঁ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত