মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত

ডিসির উদ্যোগে ঘরে বসেই চেক পেলেন জমির মালিক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

সরকারি কাজে ভূমি অধীগ্রহনের টাকা হাতে পাওয়া একটা কঠিন লড়াই। টাকা পেতে যেমনি কমিশন গুনতে হয় তেমনি হয়রানী হতে হয় বছর জুড়ে, অনেক সময় প্রাপ্ত টাকার মোটা অংশ রেখে আসতে হয় সংশ্লিষ্ট অফিসে। এবারে বিনা হয়রানীতে ঘরে বসেই ভূমি অধীগ্রহনের চেক পেলাম। কাউকে কোন কমিশন দেয়া লাগেনি। কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুর-পটুয়াখালী মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে জমি দেয়া সুবিধাভোগী বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের কটকস্থল গ্রামের। গতকাল বিকেলে গৌরনদীর কটস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহনের জমির ১৭ জন মালিককে ৩ কোটি ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৭১ টাকার চেক বিতরণ করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমারের সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহ্ মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এইচ এম জয়নাল আবেদীন। অনুষ্ঠানে বিনা হয়রানীতে চেক পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের আঃ কাদের হাওলাদার (৭২) বলেন, ‘গত সোমবার মুই ফোন পাইয়া বিকালে কটকস্থল স্কুলে যাই ওই হ্যানে ডিসি স্যার মোর হাতে জমি একোয়ারের ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দেন। জীবনে এত সহজে জমি একোয়ারের চেক পাওয়া বিরল’। একই কথা জানালেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক পাওয়া আবু বকর, ৯লাখ ৮২ হাজার টাকার চেক পাওয়া আবু তালেব মৃধা ও তিন লাখ ১৪ হাজার টাকার চেক পাওয়া সবুরজান বিবি। বিনা হয়রানী ও ঘুষ না দিয়ে ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপুরনের চেক পাওয়ায় তারা খুবই খুশি। চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভূমি অধিগ্রহনে বরিশাল এল.এ শাখা থেকে এখন আর জনসাধারনের ক্ষতিপুরনের চেক পেতে কোন হয়রানির শিকার হতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার কারণে ঘরে বসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার মুঠো ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে সব কিছু জানতে পারেন এবং চেক গ্রহন করেন। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালি-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ার পরে এ অঞ্চল আরো আমুল পরিবর্তন হয়েছে।