কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য যেমন অস্বস্তি সৃষ্টি হয়, তেমনি পেটে ব্যথা, পেট ফোলা এবং অন্যান্য সমস্যাও হয়ে থাকে। মলত্যাগ নিয়মিত না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। অনেকগুলো কারণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর জন্য দায়ী হতে পারে। যেমন- ভুল খাবার নির্বাচন, খাওয়ার রুটিন ঠিক না থাকা, অলস জীবনযাপন, ঘুম কম হওয়া, মানসিক চাপ ইত্যাদি। কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার আছে যার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব অনেকটাই। সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সঠিক ফল খাওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ছয়টি ফল সম্পর্কে-
কলা : ফাইবারসমৃদ্ধ কলা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। দিল্লিভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান রিতু অরোরার মতে, ‘পাকা কলা অন্ত্রের সিনড্রোমের উন্নতি করে এবং ছোট অন্ত্রে উপস্থিত মাইক্রোভিলিকে আরো ভালোভাবে কাজ করতে দেয়। এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।’
পেঁপে : পেঁপে পানির পাশাপাশি ফাইবারসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে ক্যালরিও থাকে অনেক কম। এটি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্যাপেইনও রয়েছে, এই এনজাইম হজমে সাহায্য করে। পেঁপে খালি খেতে পারেন।
আপেল : আপেল এই তালিকার একটি অনন্য অংশ কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করতে পারে। আপেলের খোসাসহ খাবেন। এর বাইরের অংশে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে এবং এটি অন্ত্রের গতিবিধি বাড়াতে পারে। আপেলে দ্রবণীয় ফাইবারও রয়েছে, বিশেষ করে পেকটিন নামক খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে এতে। তবে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হলে সেক্ষেত্রে আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খাবেন।
কমলা : কমলা ফাইবার এবং ভিটামিন-সি এর অন্যতম উৎস। এই সাইট্রাস ফলের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে রেচক প্রভাব রয়েছে। জুস না করে আস্ত কমলা খেলে তা আপনাকে আরো বেশি ফাইবার দেবে। কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, কমলায় থাকা যৌগ নারিনজেনিন (একটি ফ্ল্যাভোনয়েড) কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্তদের সাহায্য করতে পারে। নাশপাতি : নাশপাতিতে শুধু ফাইবার নয়, ফ্রুক্টোজ এবং সরবিটল রয়েছে। পরের দুটি রেচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এভাবে আপনাকে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সরবিটল মল নরম করতে এবং চাপের মাধ্যমে মলত্যাগ সহজ করতে সাহায্য করে।
ডুমুর : ডুমুর ফাইবারের অন্যতম উৎস। এটি মলত্যাগ সহজ করে। এতে ফিসিন নামক একটি এনজাইমও রয়েছে, যা রেচক প্রভাবে অবদান রাখতে পারে।