ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

বাঁধের ১৬০ মিটার ধস বন্যার আশঙ্কা

বাঁধের ১৬০ মিটার ধস বন্যার আশঙ্কা

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী মেঘাই তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ১৬০ মিটার ধস নেমেছে। গতকাল সকালে প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে বাঁধের এ অংশ যমুনা গর্ভে চলে যায়। এ কারণে বাঁধ এলাকায় ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দফায় দফায় বর্ষণে যমুনায় স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে গতকাল সকালে ওই বাঁধের প্রায় ১৬০ মিটার অংশ ধ্বসে গেছে। সেখানে নোঙর করে রাখা জেলেদের ২৮ থেকে ৩০টি নৌকায় মাটিচাপা পড়েছে। এ ভয়াবহ ধস ঠেকাতে সকালে থেকেই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং এ ধস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে পাউবো’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে কাজিপুর উপজেলাকে রক্ষার জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালে ৫৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘাই এলাকায় এ তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেছেন, ওই বাঁধ একেবারে ধসে গেলে ভাটি অঞ্চলের অনেক গ্রাম পানিতে ডুবে যাবে এবং কাজিপুর থানা, উপজেলা খাদ্য গুদাম, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য সকাল থেকে এ ধস প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঁধের ধস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আশা করছি এখন আতঙ্কের কিছু নেই। এ ধস ঠেকাতে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত