সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের পরিবর্তে ঘরবাড়ি মজবুত করার আহ্বান

উপকূলে দুর্যোগকালে আশ্রয়ের জন্য বিকল্প প্রস্তাব

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

উপকূলবর্তী এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের বিকল্প প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি মজবুত করা যেতে পারে। সেই বাড়িগুলো দুর্যোগকালীন আশ্রয় কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রস্তাবটি গবেষণার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাংবাদিকদের বলেন, উপকূলীয় এলাকায় প্রতিবছরই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ আঘাত হানে। দুর্যোগের সময় আশ্রয়ের জন্য সরকার সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছে। এখনো সাইক্লোন সেন্টারের চাহিদা রয়েছে। ওই চাহিদা পূরণে বড়ধরনের বাজেট দরকার। কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নাগরিক সংগঠন ও এনজিওদের পক্ষ থেকে দেওয়া ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম’ শীর্ষক প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, সরকারি সহায়তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি মজবুত করা গেলে সেখানে দুর্যোগকালে ওই পরিবারের পাশাপাশি আশপাশের জনগণ আশ্রয় নিতে পারে। যারা এ ধরনের বাড়ি নির্মাণ করতে আগ্রহী তাদের বিশেষ সুবিধায় ঋণ দেওয়া যেতে পারে। সরকারি ব্যয় কমানো ও জনগণের সুবিধার্থে এই প্রস্তাব কতোটা কার্যকর হতে পারে তা গবেষণার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বন্যা ঝুঁকি, বজ্রপাত এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আলোচনাকলে উপকূলীয় এলাকায় ব্রিজ-কালভার্ট ও সড়কের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন সংসদ সদস্যরা। তারা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই ঝুঁকিতে থাকা ব্রিজ-কালভার্ট ও সড়কগুলো সংস্কারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা শেষে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতিগুলো সংক্ষিপ্ত সময়ে সমাধান করা সুপারিশ করা হয়।