পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে তিল, কাউন, পাট ও বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে পানি ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বহু বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেক স্থানে কাঁচাসড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেক স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুরসহ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে কাজিপুরে সলিড স্পার ও যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অবশ্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ভাঙন ও ধস রোধে রাত-দিন কাজ করেছে। এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এরইমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।