ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন

পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে ইবি শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ চার সহযোগীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও আগামী ১৯ জুলাই চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

বহিষ্কৃত পাঁচজন, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন উর্মী।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচিত হয়ে পড়ে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে উচ্চ আদালত তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা প্রমাণিত হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসেছিল তার আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তরাসহ অভিযুক্ত পাঁচজনের প্রত্যেকের এক বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।