অভিযুক্তদের সঠিক বিচার হয়নি : ফুলপরী

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ফুলপরী খাতুন নামে নবীন ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন নির্যাতিত ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, ‘আজকে রায় দিয়েছে আমি দেখলাম। ওনারা পাঁচজন আমাকে যে পরিমাণ নির্যাতন করেছে (শারিরীক, মানসিক) তার শাস্তি এক বছরের জন্য কখনোই হতে পারে না। এতে আমি সন্তুষ্ট না বরং আরো বেশি আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কেন প্রশ্ন করলে ফুরপরী জানান, তারা যে একবছর পরে এসে আমার এ ঘটনার প্রতিশোধ আবার নিবে না বা এমন কাজ পরবর্তীতে করবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমার ধারণা তারা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে, এমন করবে। তিনি বলেন, ‘আমার যে দাবি তাদের স্থায়ী বহিষ্কার আজীবনের জন্য সেটাই আমি চাই। সেটা আমার দাবি ছিল ও রয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না। আমি মনে করি তাদের সঠিক বিচার হয়নি।’ প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের ২০২নং কক্ষে অনুষ্ঠিত ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট, ১৯৮৭-এর অধ্যায় ২ ধারা ৮ অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে আমাদের ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওই ঘটনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আদালতে পাঠাব। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট থেকে পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।