ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উখিয়ায় ভার্মি কম্পোস্ট সার

উৎপাদনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী খামারিরা

উৎপাদনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী খামারিরা

উখিয়ায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন খামারিরা। ভার্মি কম্পোস্ট সার বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। পুরো উখিয়া উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে, পাশাপাশি দিনদিন ভার্মি সার উৎপাদন পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠছে বেকার ও অসহায় খামারিরা। উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৈল খোলা গ্রামের আবুল কাসমের স্ত্রী আলমাস খাতুন (৫০) প্রতি মাসে ১ টনের অধিক ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছে। প্রথমে তিনটি রিং দিয়ে সার উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে ২০টি রিংয়ে সার উৎপাদন করছে। তার মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকা।

একইভাবে রেহানা আক্তার শাহানা আক্তার আয়েশা বেগম ও আমির হোসেনসহ ৪০ জন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী খামারি জীবিকা অর্জন করে সাফল্যের মুখ দেখেছে। আলমাস খাতুন ও আমির হোসেন জানান, আমাদের খামারে প্রতি মাসে প্রায় ৩ টন কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন আমাদের মতো খামারিরা।

তৈল খোলা গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী রেহেনা আকতার ও আয়েশা বেগম বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি কক্সবাজারের সহায়তায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সর্বপ্রথম কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। তখন আমাদের অনেক অভাব ছিল। জৈব সার বা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিক্রি করে আমাদের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

মুক্তি কক্সবাজারের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ওসমান গনি জানান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে আইপিসিওএসও কর্মসূচির আওতায় উখিয়ার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে ৪০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২১ জন নারী ও ১৯ জন পুরুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে তাদেরকে বার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে শেড তৈরি, ৫০০টি কেঁচো সরবরাহ, একটি কনটেইনারসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হয়।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে ফলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ৫০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব। মুক্তি কক্সবাজার’র প্রজেক্ট অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন এবং বিক্রির বিষয়ে খামারিদেরকে মার্কেটিং লিংকেজ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের উৎপাদিত সার স্থানীয় চাষিদের পাশাপাশি সরকারি কৃষি বিভাগ ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ক্রয় করতেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত