বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন (৬৩০ কোটি) মার্কিন ডলার। এখন সেই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন (৪৬ হাজার কোটি) ডলার, অর্থাৎ ৫২ বছরে ৪৫৩.৭ বিলিয়ন (৪৫ হাজার ৩৭০ কোটি) ডলার জিডিপি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও দৃঢ় নেতৃত্বে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল সোমবার ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের দুই দিনের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। জি-২০ জোটে বাংলাদেশ সদস্য নয়। তবে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত সদস্য দেশগুলোর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের নয়টি দেশকে ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এসব দেশের প্রতিনিধিরা জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেবেন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গেস্ট কান্ট্রির মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চণ্ডমধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। বাংলাদেশ অচিরেই জি-২০ জোটে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু দেশের কাছ থেকে পাওয়া এ আমন্ত্রণ অবশ্যই অনেক সম্মানের। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে অংশ নেবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা এই বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, এবারের জি-২০ সামিটের স্লোগান হলো ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। বিশ্বব্যাপী যে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে আমাদের অধিকতর সচেতন হতে হবে। এই সংকট নিরসনে অবশ্যই সবাইকে আন্তরিক হয়ে সমাধান করতে হবে। যেখানে জি-২০ জোটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।