সুসংবাদ প্রতিদিন
অমৌসুমের তরমুজ চাষে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামে ৫০ শতক জায়গায় অমৌসুমের তরমুজ চাষ করে গফফারের ভাগ্য বদলে গিয়েছে। তার চোখে মুখে দেখা দিয়েছে স্বপ্ন পূরণের আশা। উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম পশ্চিম পাড়ার আলহাজ আয়েত আলী ছেলে গফফার। গফফার লেখা পড়া জীবন শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে, ঝুঁকে পড়েন কৃষিতে। পরিকল্পনা করেন কৃষি বিপ্লব ঘটানোর। তাই বাড়িতে বসে না থেকে ২০২০ সালে তৃপ্তি ও ব্লাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করে লাভের মধ্য দিয়ে শুরু করেন তার কৃষক জীবন। কৃষিকে আরো ভালো করে জানার জন্য ২০২২ সালে শুরুতে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং নিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৪৫ শতক জমিতে টমেটো, ৩০ শতকে মরিচ এবং ৩৩ শতক জমিতে কপি চাষ করে বাজারে বিক্রির মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখেন গফফার। এরপর ঝুঁকি নেনে অমৌসুমে তরমুজ চাষে। ছুটে যান বগুড়া বীজ উৎসব বীজ ভাণ্ডারে, সেখান থেকে প্রায় ২৫০০ চারা ক্রয় করে মালচিং পদ্ধতিতে ৫০ শতক জায়গার উপর ২০২৩ সালের মে মাসের ২২ তারিখে বীজ বপন করেন। এই অমৌসুমে তরমুজ চাষে ৫০ শতক জমির উপর এ প্রর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বীজ বপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্য ফল সংগ্রহ করা যায়। মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাথায় গামছা বেঁধে অমৌসুমে তরমুজের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন, বাবা ও ছেলে। গফফার তার ৫০ শতক জমিতে মধুমালা, তৃপ্তি, ব্লাক কিং, ব্লাক বেবীসহ চারটি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ কৃষক গফফারের সঙ্গে কথা বললে- তিনি জানান, আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে ২৫০০ তরমুজের বীজ ক্রয় করে ৫০ শতক জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী মালচিং পদ্ধতিতে বীজ বপন করেছিলাম।
এরইমধ্য গাছে ফল ধরে পাকতে শুরু করেছে আর এক সপ্তাহ পর ফল সংগ্রহ করতে পারব। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় এবং বাজারে ফলের দাম ভালো পেলে ২/৩ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিবিদ আদনান বাবু জানান, অমৌসুমে তরমুজ ব্যাপক লাভজনক একটি ফসল, এই তরমুজ চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এই উপজেলার অনেকেই ঝুঁকছেন এই তরমুজ চাষে।