কুষ্টিয়ায় হানিফ
বিএনপির নাশকতা ও ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের এমপি মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বিচ্ছিন্ন দল। যে দলের একজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতির দায়ে কারাগারে, আরেকজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতি, অনিয়ম, নাশকতাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে দণ্ডিত হয়ে বিদেশে পলাতক। সেই দল দিয়ে সরকারের ভাবনার কোনো কারণ থাকতে পারে না। বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই। কখনো মাথাব্যথা ছিল না। এটা নিয়ে মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ আরো বলেন, বিএনপির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সরকার সজাগ আছে। সরকার দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সব সময় সচেতন। এই পরিবেশ যাতে বিঘিœত করতে না পারে, সাংবিধানিক পক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার সচেতন আছে। বিএনপির নাশকতা ও ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যাচার করে আসছে। তাদের প্ররোচনায় মাঝেমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করে। এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়। যা বিএনপির জন্য উদ্বিগ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আন্দোলনের নামে তারা অতীতে সন্ত্রাস সহিংসতা করেছে, পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষকে হত্যা করেছে। এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করলে বিএনপি ভিসানীতির আওতায় পড়ে যাবে।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব-উল আলম হানিফ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলেছেন, বিএনপির ফখরুল সাহেবরা প্রত্যেক দিন সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, সেগুলো গণমাধ্যমে প্রচারও হচ্ছে।
এই সরকারের আমলে অনেকগুলো টেলিভিশন ও পত্রিকার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা আছে। গণমাধ্যম স্বাধীন না হলে কি বিএনপির মিথ্যাচার প্রচার হতো? ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, যতটুকু শুনেছি ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ভোটের পার্সেন্টেন্স খুবই কম ছিল। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি আছে।
এজন্য ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার মানুষ ভোটদানে খুব বেশি আগ্রহী থাকে না। এ সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।