সুসংবাদ প্রতিদিন

করলার ফলনে কৃষকের হাসি

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে জামতলা এলাকা। পাহাড়ের ঢাল এবং সমতল ভূমিতে করলার মাচা। করলা সংগ্রহ করে চাষিরা মাচার পাশে স্তুূপ করছেন। কয়েকজন শ্রমিক করলা বাজারে নেওয়ার জন্য ঝুড়িতে সাজিয়ে নিচ্ছেন। লালমাই পাহাড়ে এরকম করলার চাষ করতে দেখা যায় অনেক কৃষককে। প্রথম দেখায় সবুজ পাতায় ছেয়ে যাওয়া মাচায় যে কারো চোখ আটকে যায়। এবার করলার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা অনেক খুশি। তিতকুটে স্বাদের করলা এখন কুমিল্লার চাষিদের মুখে মিষ্টি হাসি এনে দিয়েছে।

এ জেলার উৎপাদিত করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই এ জেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চাষিরা করলা সবজি চাষে উৎসাহিত হয়ে করলা চাষ করে স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে ভালোই লাভের মুখ দেখছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসেন নিমসার বাজারে এবং ক্রেতারা তাদের থেকে বিভিন্ন দামে করলা ক্রয় করে মিনি ট্রাকে সকাল ১০টার মধ্যেই রওয়ানা হয়ে যান নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লার নিমসার বাজারে এসে ঢাকার কাওরান বাজারের মনির হোসেন নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কুমিল্লার করলার গুণগত মান ভালো ও এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে সরবরাহ করছেন। লালমাইয়ের করলা চাষি কায়কোবাদ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন।

বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা জানান যে, প্রতিদিন নিমসার বাজার থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। জামতলার কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, ১৫ বছর ধরে তিনি সবজির চাষ করেন। করলা চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। হকুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আইউব মাহমুদ বলেন, সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড় এলাকার ৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে। যেখানে পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমির দোঁআশ মাটিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।