ব্রহ্মপুত্র নদে উজান থেকে ভেসে আসা চারটি মহিষ উদ্ধার

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে উজান থেকে ভেসে আসা চারটি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল নয়ারহাট ইউনিয়নের ফেসকা ২০০ বিঘা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে ভাসমান অবস্থায় মহিষগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। উদ্ধারকারীদের ধারণা, ভারতের চোরাচালান কারবারিদের হাত থেকে ফসকে যাওয়া এসব মহিষ ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে ভেসে এসেছে। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ঘটনাটি ঘটায় বিলম্বে প্রাপ্ত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে চারটি মহিষ ভেসে যেতে দেখে তারা সেগুলোকে উদ্ধার করে। ওই দিন রাতেই চিলমারী থানা পুলিশ মহিষ চারটি উদ্ধার করে সাধারণ ডায়েরি করে আদালতকে অবহিত করে। উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের ফেসকা ২০০ বিঘা এলাকার আলম মোল্লাহ ও শফিকুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে ৪টি মহিষ ভেসে যাচ্ছিল। এ সময় ওই এলাকার রেজাউল করিম, আলতাফ হোসেন, আছর উদ্দিন ও আল আমিনসহ সাত থেকে আটজন দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে মহিষ চারটিকে নদী থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ধারণা ভারত থেকে চোরাচালানকারবারীদের এসব মহিষ ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে ভেসে আসতে পারে কিংবা ভারতের উজানে বন্যার কারণেও কোনো কৃষকের মহিষ পানিতে ভেসে আসতে পারে। মাঝেমধ্যেই বন্যার সময় ব্রহ্মপুত্র নদে মহিষ, গরু ও মরা মানুষের মরদেহ ভেসে আসতে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। মহিষ চারটি উদ্ধারের প্রায় ২ ঘণ্টা পরে পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলাধীন সাহেবের আলগা এলাকা থেকে আট থেকে আটজনের একটি টিম আসে এবং উদ্ধারকৃত মহিষ চারটির মালিকানা দাবি করেন। উদ্ধারকারীদের কাছে তাদের দাবি যৌক্তিক না হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে মহিষের মূল্য রফাদফা চলছিল। রফা দফার একপর্যায়ে থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে মহিষ আটক করে। পরে খবর পেয়ে রাতে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তার দল নিয়ে তেলিপাড়াচর এলাকা থেকে মহিষ চারটি নৌকাযোগে চিলমারী থানায় নিয়ে আসেন।

চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেছুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে বেওয়ারিশ হিসাবে পাওয়া মহিষ চারটিকে উদ্ধারের পর সাধারণ ডায়েরি ভুক্ত করে আদালতকে জানানো হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।