ডেঙ্গু, এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসঘটিত জ্বর রোগ। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে উদ্বিগ্ন মানুষ। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরে ব্যথা হয়, লাল গুটি দেখা দেয়, মাংসপেশি ও হাড়ের জোড়াতেও ব্যথা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে রক্তক্ষরণের ফলে এ রোগে মৃত্যুও হতে পারে। প্রথমবারের ধাক্কা সামলে উঠলেই যে মুক্তি তা কিন্তু নয়। ডেঙ্গু রোগে কেউ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তা প্রথমবারের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। এ ছাড়াও যারা সুস্থ হচ্ছেন তাদের কিছু বিষয়ে সর্তক থাকাটা খুব দরকার। ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পরেও হালকা জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ছাড়াও পেশিতে, মাথায়, চোখের পেছনে ব্যথা থেকে যেতে পারে। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর কী কী সর্তকতা অবলম্বন করবেন, জেনে নিন-
বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। বাড়ির চারপাশে বৃষ্টির পানি জমতে দেওয়া যাবে না। টব, বাতিল টায়ার, পাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ভেতর পানি জমে মশা বংশ বিস্তার করতে পারে। তাই এগুলো ফেলে দিন।
আলমারির পেছন, খাটের নিচে, ঘরের অন্ধকার কোণগুলোতে মশা বিশ্রাম নেয়। এই জায়গাগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সুস্থ হওয়ার পর বেশি পরিশ্রমের কাজ করতে যাবেন না। বিশ্রাম নেওয়া খুব দরকার। সময় মতো ঘুমাতে চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে যোগ না দিয়ে কিছুদিন শুধু বিশ্রাম নিন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। ধূমপান, মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার শরীর আরও দুর্বল হয়ে যাবে
খাবারের মধ্যে টক জাতীয় ফল যেমন লেবু, বেদানা, আমলকী, আমড়া অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়াও গমের রুটির বদলে জবের রুটি যদি খেতে পারেন খুব ভালো।
এ সময়টাতে শরীর দুর্বল থাকে বলেই ডাবের পানি পান করতে পারেন। সারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ডাবের পানি অবশ্যই পান করবেন। এটি পথ্য হিসাবে কাজ করবে।
তুলসী পাতা এবং মধু পানিতে গরম করে ফুটিয়ে সেই পানি খালি পেটে পান করবেন। দারুণ কাজ দেবে। এ ছাড়া পেঁপে পাতার রস এই রোগে দারুণ উপকারী। পেঁপে পাতা বেটে সেই রস পান করলে ভালো উপকার পাবেন।
ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর পুনরায় জ্বর হলে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হন। তিনিই রোগ নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। * দিনে-রাতে যখনই ঘুমাবেন তখন অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাবেন। একদম সকালে ও সন্ধ্যার সময়টাতে বেশি সংখ্যক মশা ঘরে প্রবেশ করে। এই সময়টায় দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন।