কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে গেছে রাশিয়া

বিশ্বজুড়ে বেড়ে গেল গমের দাম

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন কর উত্তেজনা বেড়েছে। শর্তপূরণ না হওয়ার অজুহাতে কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে গেছে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনের বন্দরগামী জাহাজগুলোকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্য হিসাবে বিবেচনার বিষয়ে হুমকি দিয়েছে দেশটি। আর এর ফলও মিলেছে হাতেনাতে। বিশ্ব বাজারে গমের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বন্দরের দিকে যাওয়া জাহাজগুলোকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্য হিসাবে বিবেচনার বিষয়ে রাশিয়া ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্ব বাজারে গমের দাম তীব্রভাবে বেড়ে গেছে। গত সোমবার কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। এক বছর আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারত ইউক্রেনের খাদ্যশস্য। তবে গত ১৭ জুলাই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর রাশিয়া সেটির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে মস্কোর ওই হুমকির পর হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বেসামরিক জাহাজে হামলায় ইউক্রেনকে দোষারোপ করার পরিকল্পনার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দাবি পূরণ হলে তিনি অবিলম্বে শস্য চুক্তিতে ফিরে যাবেন।

তার দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাশিয়ার কৃষি ব্যাংককে বৈশ্বিক অর্থপ্রদান ব্যবস্থার সঙ্গে পুনরায় সংযোগ করা। এদিকে গত বুধবার রাতে ইউক্রেনের বন্দর শহর মাইকোলাইভে রুশ বিমান হামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক লোক নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া গত বুধবার রাতে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলায় এক কিশোরী নিহত হয়েছে বলে রুশ সমর্থিত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে আসার পর বুধবার কার্যত হুমকির সুরে কথা বলে রাশিয়া। দেশটি জানায়, কৃষ্ণসাগরে জাহাজ ঢুকলেই তাতে হামলা করা হতে পারে। গত বুধবার এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইঙ্গিত দিয়েছে, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেনের শস্য নিতে, কৃষ্ণসাগরে যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে সেটির ওপর হামলা চালানো হবে। কারণ এসব জাহাজকে অস্ত্রবাহী হিসাবে বিবেচনা করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, ‘কৃষ্ণসাগর চুক্তি ছিন্ন এবং সামুদ্রিক মানবিক করিডোর বন্ধ হওয়ায় ২০ জুলাই রাত ১২টা থেকে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের বন্দরের দিকে যাওয়া সব জাহাজকে অস্ত্রভর্তি কার্গোবাহী জাহাজ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘জাহাজে যেসব দেশের পতাকা পাওয়া যাবে; তাদের কিয়েভ সরকারের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের সংঘাতে জড়িত বলে বিবেচনা করা হবে। কৃষ্ণসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার উত্তরপূর্ব এবং দক্ষিণপূর্বের কয়েকটি এলাকাকে জাহাজ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবেও ঘোষণা করা হয়েছে।’ এদিকে রাশিয়ার এ হুমকির পর বিশ্ববাজারে গমের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গত বুধবার ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জে গমের দাম আগের দিনের থেকে ৮.২ শতাংশ বেড়েছে। দাম বাড়ার পর প্রতি টন গম এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫৩ দশমিক ৭৫ ইউরোতে। এছাড়া ভুট্টার দাম বেড়েছে ৫.৪ শতাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গমের দাম এক লাফে বেড়েছে ৮.৫ শতাংশ। যা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি। ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি বলেছেন, ওডেসা বন্দরে রাশিয়ার হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শস্য রপ্তানি অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত শস্যচুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ম্যারেক্স ক্যাপিটাল বিশ্লেষক চার্লি সারনাটিঙ্গার বলেছেন, চলমান যুদ্ধে এই ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি ও হামলার হুমকি ‘কৃষ্ণসাগর দিয়ে সমুদ্রপথে সব ধরনের শস্যের চালান বন্ধ করে দিতে পারে। আর তেমনটি হলে যুদ্ধের শুরুতে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল এখনও সেই একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এসি ট্রেডিংয়ে প্রেসিডেন্ট জিম গারলাচ বলেছেন : ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভয়াবহ হামলা চলছে এবং কেউ এর মাঝখানে যাবে না। এই অঞ্চলটি ইউরোপের রুটির ঝুড়ি এবং জাহাজগুলোকে সেখান থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।’ প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বুধবার শস্যচুক্তিকে পশ্চিমা দেশগুলো ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল’ হিসাবে ব্যবহার করার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ইউক্রেন ‘যুদ্ধের উদ্দেশ্যে’ কৃষ্ণসাগরের শস্য করিডোর ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগও করেছে মস্কো।

রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউক্রেন নিরাপদ শস্য সরবরাহের জন্য একটি নতুন অস্থায়ী সামুদ্রিক রুটে কাজ শুরু করবে। জাতিসংঘের শিপিং এজেন্সির কাছে ইউক্রেনের ভারপ্রাপ্ত কমিউনিটিস অ্যান্ড টেরিওটরিস ফর ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার ভ্যাসিলি শুকুরাকভের জমা দেওয়া একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স বুধবার এ কথা জানান। সংস্থাটি বলেছে, ১৮ জুলাই তারিখের একটি চিঠিতে ইউক্রেন বলেছে, তারা ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি প্রস্তাবিত সামুদ্রিক রুট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ শুকুরাকভ বলেছেন ‘এর লক্ষ্য হল কৃষ্ণ সাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য অবরোধ মুক্ত করা।’ চিঠি অনুসারে অতিরিক্ত ট্র্যাফিক রুটটি আঞ্চলিক জল এবং রোমানিয়ার একচেটিয়া সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিয়ে যাবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১৭ জুলাই বলেছিলেন, তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই শস্যচুক্তি চালিয়ে যাওয়ার বা তিন-পক্ষীয় বিন্যাসে অনুরূপ চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন। শস্য চুক্তিটি ১৭ জুলাই বাতিল করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী জাহাজগুলোর জন্য কৃষ্ণ সাগর করিডোরের চুক্তিটি বেশ কয়েকবার বাড়ানোর পরে, রাশিয়া উল্লেখ করেছে যে, এই সম্পর্কিত চুক্তির অংশ কৃষি রপ্তানির জন্য বাধা অপসারণ কখনই পূরণ হয়নি। মস্কো আরও জোর দিয়েছিল যে যদিও চুক্তিতে দরিদ্রতম দেশগুলোতে খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্য ছিল, তবে ইউক্রেনীয় শস্যের প্রধান অংশ উন্নত পশ্চিমা দেশগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছিল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যে রাশিয়া চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত, তবে কেবল তখনই যখন মস্কো সম্পর্কিত তার অংশটি পূরণ হবে। অপরদিকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হেমমেত সারসারের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, শস্য রপ্তানি চুক্তির রাশিয়ার অংশের অগ্রগতির ঘাটতি ছিল। এটি গত সোমবার বাতিল করার অন্যতম প্রধান কারণ। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘রাশিয়ার পক্ষ আবারো জোর দিয়ে বলেছে যে, রাশিয়া-জাতিসংঘ স্মারকলিপি বাস্তবায়নের ঘাটতি ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির বিষয়ে কৃষ্ণসাগর করিডোর চুক্তি আমাদের বাতিল করার সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। চুক্তিটির মেয়াদ গত ১৭ জুলাই শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’ তারা জানায়, ‘পক্ষগুলো আফ্রিকার একেবারে দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।’ মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের মধ্যে মঙ্গলবার টেলিফোন আলোচনার ফলশ্রুতিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববাজারে খাদ্য ও সার সরবরাহের সমস্যা সমাধানে গতি আনতে ২০২২ সালের ২২ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। কৃষ্ণসাগর করিডোর দিয়ে শস্য রপ্তানির এ চুক্তির মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার আগে চুক্তিটির মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছিল। আবারো এ চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাশিয়ার অস্বীকার করার প্রধান কারণ হলো এ চুক্তির অংশ রাশিয়ার কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য বাধা অপসারণের পরিকল্পনা কখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজে হামলা করে ইউক্রেনীয় বাহিনীর উপর দোষ চাপাতে পারে। গত বুধবার হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ জানান, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বেসামরিক জাহাজের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ইউক্রেনের শস্য স্থাপনার লক্ষ্যবস্তু সম্প্রসারণ করতে পারে।’ তিনি বলেন, অভিযোগটি সদ্য প্রকাশ করা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। রাশিয়া গত বুধবার বলেছে, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির অনুমতি দেয় এমন একটি যুগান্তকারী চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের পর কৃষ্ণ সাগরের সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু দিয়ে ইউক্রেনে যাওয়ার কার্গো জাহাজগুলো বিবেচনা করবে। ওডেসার দক্ষিণ ইউক্রেনীয় বন্দরের চারপাশে দ্বিতীয় রাতের হামলার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে শস্য রপ্তানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার এবং খাদ্য সংকটে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আরো ঝুকির মধ্যে ফেলার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। কিয়েভ কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর নিরাপদ উত্তরণ নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করার জন্য ব্যবহৃত সমুদ্রপথটি কার্যকরভাবে বন্ধ করার ফলে পুনরায় ইউক্রেনের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে সস্তায় শস্যে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটি ওডেসার বন্দর নগরীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা সেইসঙ্গে ক্রেমলিনের একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণসাগরে শস্যবাহী জাহাজে রাশিয়ান হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই চুক্তিতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে বিশ্ববাজারে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। মস্কো বলেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ওডেসায় সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে কিন্তু অ্যাডাম হজ ইউক্রেনের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন যে, এই হামলায় ফলে ‘কৃষি অবকাঠামো এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়েছে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তার মতে, এ ধরনের হামলা এখন বেসামরিক জাহাজে প্রসারিত হতে পারে। রাশিয়া এই ধরনের আক্রমণকে ইউক্রেন বাহিনীর হামলা হিসেবে দেখানোর অভিযান চালাচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে যাত্রা করা সব জাহাজকে সামরিক পণ্যসম্ভারের সম্ভাব্য বাহক হিসাবে বিবেচনা করা হবে এবং এর পতাকা রাষ্ট্রগুলোকে ‘কিয়েভের পক্ষে ইউক্রেনীয় সংঘাতে জড়িত বলে বিবেচিত করা হবে’। গত বছর ইউক্রেনে মস্কোর অভিযানের শুরুতে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো যুদ্ধ জাহাজের মাধ্যমে অবরুদ্ধ ছিল।