এক সময় ধান-পাট ও দেশি ফল চাষে করেই জীবনযাপন করতেন গ্রামের সাধারণ মানুষ; কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে অনেক কিছু। মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন পথে হাঁটছে। দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফল উৎপাদনে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন অনেকে। তারা বাড়ির পাশেই গড়ে তুলছেন বিদেশি ফলের বাগান। সে ধারাবাহিকতায় ড্রাগন এখন পরিচিত ফল হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গ্রাম বাংলায়। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার একটি গ্রাম হারং। ওই গ্রামের মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পিঙ্করোজ, রেড বেল ও হোয়াইট ড্রাগন।
দুই বিঘা জমিতে এ ফলের চাষ করেন কামাল হোসেন সরকার দুলাল। ২০২২ সালে তিনি চারা লাগান। তার জমির লিজসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। এক বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। তিনি লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। তার আশা আগামী বছর পুঁজি উঠে যাবে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাইকারির সঙ্গে স্থানীয় ক্রেতাও এসেছেন। দুলাল বলেন, ইউটিউবে দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কাজ শুরু করেন। চাষ করতে করতে অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আশা করছেন আগামীতে আরও বেশি ফলন পাবেন। তাকে দেখে অন্যরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তিনি চারাও বিক্রি করেন।
ক্রেতারা বাগান থেকেই ফল সংগ্রহ করেন। স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, দুলাল আমাদের কাছে ড্রাগন ফল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমরা তাঁকে পরামর্শ দিই। সঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে চারা ও সার দিয়ে সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন বিষমুক্ত পদ্ধতিতে ফল উৎপাদন করবেন। তার সাফল্য আমাদের উৎসাহী করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল হক রোমেল বলেন, এ ফলটি উচ্চমানের ভিটামিন ও পুষ্টিমান সম্পন্ন। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ফ্রিজিং ছাড়া স্বাভাবিক আবহাওয়ায় এক সপ্তাহ রাখা যায়। এটি বিদেশি ফল হলেও দেশে ব্যাপক চাষ হচ্ছে। দিন দিন কুমিল্লায়ও এ ফলের আবাদ বাড়ছে।