ছাত্রলীগ নেতার সহায়তায় চবিতে ভর্তির সমস্যা কাটল তারিকুলের
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
অবশেষে টাকার অভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি হওয়ার সমস্যা কাটল তারিকুল ইসলামের। তাকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু। গতকাল শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চবিতে ভর্তি হতে যত টাকা প্রয়োজন, তা আমি বহন করব। পাশাপাশি ভর্তি হওয়ার পর তারিকুল ইসলামের যত সাহায্য দরকার তাও বহন করব। টাকার অভাবে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারবে না, তা হয় না। নিজের যতটুকু সাধ্য আছে, তা দিয়ে ওর পড়াশোনার খরচ চালানোর চেষ্টা করব। তারিকুল ইসলাম বলেন, বাচ্চু ভাইয়ের এমন সহায়তার জন্য উনাকে ধন্যবাদ। সবসময় ঋণী হয়ে থাকব উনার কাছে। গণমাধ্যমকেও ধন্যবাদ আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। শৈশবে মা মারা যাওয়ার পর বাবাও ছেড়ে চলে যান তারিকুলকে। এরপর এতিমখানায় থেকে বড় হন তিনি। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন কলেজে। পড়াশোনার খরচ চালাতে করতেন দিনমজুরের কাজ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো করার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন তারিকুল। ডি-ইউনিটে ৪৩তম এবং বি-ইউনিটে হয়েছেন ৩৬তম। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার।
তারিকুলের বাড়ি রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানার মডেল টাউন গ্রামে। স্থানীয় বাঘাইছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসার হোস্টেলে বড় হন তিনি। দিনমজুরের কাজ করে এ মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন ২০২০ সালে, মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ৩৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। সেখানে আলিম মাদ্রাসা না থাকায় স্থানীয় কাচালং সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৪ দশমিক ১৭ পেয়ে পাস করেন তিনি। এদিকে চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তারিকুলের। গত ২০ জুন ছিল ভর্তি ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন। ভর্তির জন্য ৮ হাজার টাকা প্রয়োজন হলেও ২০ জুন পর্যন্ত তারিকুল সর্বসাকুল্যে জোগাড় করেন মাত্র দেড় হাজার টাকা। তাই তিনি আর ভর্তি হতেই আসেননি। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তারিকুলকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর ভর্তি সমস্যা কাটল তারিকুলের।