বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবনযাপনের ধরন খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের জীবনযাপনের প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যেও। ফলস্বরূপ ডায়াবেটিস ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, পুরো বিশ্বে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জেনে নিন এমন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সম্পর্কে যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী-
ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান শুধুমাত্র সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না বরং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান ইনসুলিন প্রতিরোধে অবদান রাখে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা আরো চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। ধূমপান ত্যাগ করলে তা ধীরে ধীরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
নিয়মিত চেকআপ: ডায়াবেটিস প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চেকআপ অপরিহার্য। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের জন্য টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রুটিন স্ক্রিনিংয়ের পরামর্শ দেয়। এই চেকআপগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিরীক্ষণ করতে, ঝুঁকির কারণগুলো শনাক্ত করতে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রদান করতে চিকিৎসকদের সাহায্য করে। পানি পান করা: প্রয়োজনীয় পানীয় হিসাবে পানি বেছে নিন। এটি আপনাকে চিনি, প্রিজারভেটিভ এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উপাদানবোঝাই পানীয় এড়াতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ না করে বা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত না করেই পানি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখে।
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিস প্রতিরোধে উপকারী। ফাইবার চিনির শোষণকে ধীর করে দেয়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। ফলমূল, শাকসবজি, দানা শস্য জাতীয় খাবার ফাইবারের চমৎকার উৎস।
চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট পরিমিত গ্রহণ: চিনি এবং পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার উচ্চ গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
চিনিযুক্ত পানীয়, ডেজার্ট, প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস এবং পরিশোধিত শস্য খাওয়া কমিয়ে আনুন।