সুসংবাদ প্রতিদিন
নার্সারি করে সফল ছিরু মোল্লা
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
এখনো প্রচুর পরিশ্রম করেন প্রত্যন্ত গ্রামের মাঝ বয়সি ছিরু মোল্লা। মেধা ও শ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছেন নার্সারি। এ নার্সারিতেই তিনি দিনের অধিকাংশ সময় কাটান। এ নার্সারি থেকে তিনি প্রতি বছর অন্তত ২২ লাখ টাকার ফলদ, বনজ, ঔষধি ও ফুল গাছের চারা বিক্রি করেন। আর এ চারা বিক্রি করেই তিনি বছরে অন্তত ৮ লাখ টাকা আয় করেন। নার্সারির আয় দিয়েই মো. ছিরু মোল্লার সংসার চলে। সংসার চালানোর পর বাড়তি টাকা সঞ্চয় করেন। নার্সারি করে তিনি যেমন সফল হয়েছেন, তেমনি খুব ভালো আছেন।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার চরপদ্মবিলা গ্রামে মো. ছিরু মোল্লার নার্সারি। ছিরু মোল্লার নার্সারিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অন্তত এক একর জমিজুড়ে তার বিশাল নার্সারি। এ নার্সারিতে আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু, মাল্টা, কমলা, এভোকাড, নারকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া, সফেদা, বরই, নিমসহ ১৫০ প্রজাতির দেশি-বিদেশি বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ফুলের গাছের চারা রয়েছে। সেখানে ছিরু মোল্লার সঙ্গে আরো ১২ জন কাজ করছেন। তারা নার্সারির গাছের চারা পরিচর্যা ও গুটি কলম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছিরু মোল্লার নার্সারিতে শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। গাছের চারা দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
এ নার্সারি থেকে ক্রেতাদের চারা কিনে নিতে ও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ নার্সারির বদৌলতে এখানে অন্তত ১২ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নার্সারির মালিক ছিরু মোল্লা বলেন, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুদি ব্যবসা করতাম। এ ব্যবসায় প্রচুর বাকি দিতে হতো। ২৩ বছর আগে মুদি ব্যবসায় লস হয়। পরে এ ব্যবসা বন্ধ করে দিই। নিজের জমিতে আমের বাগান কারার উদ্যোগ গ্রহণ করি। ২০০০ সালে আম বাগানের জন্য আমের চারা কিনতে যাই। সেখানে নার্সারি মালিকের পরামর্শে এক ট্রাক আমের চারা নিয়ে আসি। এ চারা দিয়ে নিজে একটি আম বাগান করি। এক পর্যায়ে গ্রামের প্রতিবেশীদের জমি লিজ নিয়ে নার্সারি গড়ে তুলি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে আমার নার্সারি সম্প্রসারণে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সব ধরনের সহযোগিতা করছে। আমার নার্সারিতে ১২ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এইচ এম খায়রুল বাসার বলেন, নার্সারি ব্যবসা বেশ লাভজনক ব্যবসা। মো. ছিরু মিয়া আমাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ফল ও ফুলের চারা উৎপাদন করেন। আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করি। ২৩ বছর ধরে তিনি নার্সারি করে সফল হয়েছেন। নতুন প্রজন্ম এ ব্যবসায় এলে তারাও লাভবান হবেন।