চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের বাবুর্চি রেজিয়া বেগম ও তার নাতি শাকিল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের রোগীদের খাবার চুরি করে আসছিল। সর্বশেষ চুরির ঘটনায় নানি ও নাতিকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে রোগীর খাবার চুরি করা হচ্ছিল। সর্বশেষ নানি ও নাতির খাবার চুরির এ ঘটনায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তদন্তের পর প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এ তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনজনকে বরখাস্ত করেছে। হাসপতালের দায়িত্বরত প্রশাসনিক একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনজন বরখাস্ত হওয়ার সত্যতার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান জানান, হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই তিনজনকে লিখিত চিঠি দিয়ে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীরা হচ্ছে: বাবুর্চি রেজিয়া বেগম, তার মেয়ে সহকারী বাবুর্চি পারুল বেগম ও নাতি সাকিল হোসেন।
এর আগে গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বাবুর্চি রেজিয়াসহ তিনজন মিলে রোগীদের বরাদ্দকৃত খাবার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় হাসপাতাল গেটে অটোরিকশায় উঠানোর সময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় যুবক, অ্যাম্বুলেন্স চালক ও এলাকাবাসী। পরে তাদের দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ঘটনার পর থেকে বর্তমানে অন্য লোক দিয়ে হাসপাতালের রান্না ও খাবার পরিবেশনের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। পূর্বে যে তিনজন হাসপাতালের রান্না ঘরের দায়িত্বে ছিলেন, চুরির ঘটনার পর তাদের লিখিত চিঠি দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গত ২২ জুলাই দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়।