রোদে বের হলেই প্রচণ্ড মাথার যন্ত্রণা, বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়া তীব্র ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে এই উপসর্গগুলো বেশ পরিচিত। অনেকের একটানা ক’দিন এই ব্যথা থাকে। চলুন এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিই, যা আমাদের অজান্তেই এই ব্যথা বাড়িয়ে তোলে-
পানি কম খাওয়া : শরীরে পানির ঘাটতি হলেই মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়ে। সারাদিনে পরিমাণ মতো পানি পান করেন তো? অন্তত আড়াই লিটার পানি না খেলে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা।
চিনি বেশি খাওয়া : অতিরিক্ত চিনি আছে এমন খাবার না খাওয়াই ভালো। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই খাদ্যতালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন ততই ভালো।
ঘুমের অনিয়ম : একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। একদিন কম ঘুমালেন, একদিন বেশি- এমনটা করলে কিন্তু চলবে না। প্রতিদিন ঘুমের সময় সমান রাখার চেষ্টা করুন। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে।
কড়া আলোতে থাকা : কড়া আলোতে অনেকেরই মাথা দপদপ করে। প্রখর রোদে থাকা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। এমনটা হলে, কিছুক্ষণ আলো নিভিয়ে কিংবা অন্ধকার কোনো জায়গায় গিয়ে চোখ বুজে বসে থাকুন।
মৌসুম বদল : কখনো কড়া রোদ আবার কখনো বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা আবহাওয়া- দুটোই মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তাই মৌসুম বদলের সময় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এজন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, যোগাসন করতে পারেন।
খালি পেটে থাকা : অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে অনেকের বদহজমের সমস্যা হয়। গ্যাসের সমস্যাও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তাই কাজের ফাঁকে সময় বের খেতে হবে। একসঙ্গে অনেকটা খাবার না খেয়ে মাঝেমধ্যেই অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। মাইগ্রেনের সম্ভাব্য কারণগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এই ব্যথা উঠলে বিশ্রাম নিন।