ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

জৈব সার তৈরি করে স্বাবলম্বী রুহুল আমিন

জৈব সার তৈরি করে স্বাবলম্বী রুহুল আমিন

গাজীপুরের শ্রীপুরে জৈব সার তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন রুহুল আমিন নামে এক যুবক। এখন তিনি জৈব সার কারখানার মালিক। প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে তুলেছেন এগ্রোটেক অর্গানিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের জৈব সার কারখানা। প্রথমে তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আজুগীরচালা নিজ গ্রামে ২০১৪ সালে পরীক্ষা মূলকভাবে ছোট পরিসরে জৈব সার তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর (বারি) এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জৈব কৃষি গবেষক ড. নাজিম উদ্দিনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে ২০১৭ সালে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বদনীভাঙা এলাকায় দুই বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন জৈব সার কারখানা।

এর আগে রুহুল আমিন বারিতে একাধিকবার উচ্চমানের জৈব সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কয়েক বছরের ব্যবধানে উদ্যোক্তা রুহুল আমিনের জৈব সার কারখানায় ১৫ জন শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়েছেন। এখানে কাজ করে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। শ্রমিকদের ভেতরে কয়েকজন নারী শ্রমিকও রয়েছেন। তার কারখানায় ২০২২ সালে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন জৈব সার উৎপাদন করেন। প্রতি কেজি পাইকারি হিসেবে ৬-৭ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ওই সালে প্রায় ৫০ লাখ টাকার জৈব সার বিক্রি করেন উদ্যোক্তা রুহুল আমিন। চলতি বছরে প্রতি কেজি পাইকারি হিসেবে ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন।

২০২৩ সালে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার সার বিক্রির আশা করছেন রুহুল আমিন। এই সার রাজধানীর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, রংপুর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, মাগুরা, খুলনা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। রয়েছে ভালো চাহিদা। উদ্যোক্তা রুহুল আমিন জানান, সরকারি-বেসরকারিভাবে যদি কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করে, সার ব্যবসায়ীদের জৈব সার বিক্রির জন্য রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সারের পরিমাণ নির্ধারিত করে দেয় এবং জৈব সারের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে কৃষক এই সার ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বলেন, জৈব সারে রয়েছে নানান উপকারিতা। ফলন বৃদ্ধি ও গুণগত মান বাড়ায়, সব ঋতুতে সব ফসলে ব্যবহার করা যায়। জৈব সার বীজের অংকুরোদ্গমে সহায়তা করে, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, মাটির গঠন ও প্রকৃত গুণ রক্ষা করে, মাটির উপকারী জীবাণুগুলোর বংশবৃদ্ধি ও কার্যকারিতা বাড়ায়। জৈব সার ব্যবহারের ফলে আনুপাতিক হারে রাসায়নিক সারের মাত্রা কমানো যায়, রাসায়নিক সারে যে ফসল উৎপাদন করা হয় তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত