ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ নিয়ে ভাবছি না

ইসি আনিছুর
রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ নিয়ে ভাবছি না

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, তারা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ নিয়ে ভাবছেন না। কমিশনের পক্ষ থেকেও নতুন করে আর কোনো সংলাপের আয়োজন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না তিনি।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংলাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এ অবস্থানের কথা জানান তিনি।

দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডাকে কাজী হাবিুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো তা বর্জন করে। পরে আরও একবার সংলাপের উদ্যোগ নিলেও বিএনপি ও সমমনাদের সাড়া পায়নি কমিশন। চিঠি পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

সংলাপের আর কোনো উদ্যোগ নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, সংলাপ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের সংলাপের আর প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবেই সমাধান হবে। রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই। আমরা তফসিলসহ অন্যান্য নির্বাচনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাব।

তফসিল নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, অক্টোবরে তফসিল হবে কি না জানি না। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যদি নির্বাচন করি তাহলে ৪৫ দিন আগেই করতে হবে।

নূরের গণ-অধিকার পরিষদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি সম্পর্কে আনিছুর রহমান বলেন, তারা কী করবে? আমাদের ঘেরাও করলে ঘেরাও হয়ে বসে থাকব। বিচলিত হব না। সারা দেশেই তো রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে। স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলছে। হয়ত সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে, চলাচলের সমস্যা হবে।

তিনি বলেন, তাদের (গণ-অধিকার পরিষদ) ক্ষোভ থাকতেই পারে। কমিশন ঘেরাও করার অধিকারও তাদের আছে। করুক। যদি কেউ ঘেরাও করে আমরা ঘেরাও হয়ে থাকব, অসুবিধা নেই।

নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে এ কমিশনার বলেন, আমরা ২৬ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছি আপত্তি জানানোর জন্য। যারা নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে মনে করে তাদের আপত্তি জানানোর জন্য। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছে। কালকের পর আমরা এটা নিয়ে বসব।

এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশনে এসে নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য ইসি সাতদিন সময় বেঁধে দিল গণ-অধিকার পরিষদ (একাংশ)। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে সরাসরি ইসি ঘেরাও করবে দলটি।

এর আগে দলের নেতাকর্মীরা পল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে ইসি ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করলেও পথে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর প্রতিনিধিদলটি ইসিতে আসে।

গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান লিখিত আবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবি না মানলে এবার আর দলীয় কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করব না। সরাসরি ইসিতে এসে ঘেরাও করব।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে পুনর্বিবেচনার জন্য আপনারা আবেদন করতে পারেন। সেই জায়গা থেকে আমরা আবেদন জানিয়ে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি।

গণ-অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নূরের স্বাক্ষর করা আবেদনে বলা হয়, শুধু তার দল নয়, তালিকায় থাকা সক্রিয় কার্যকর দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে হবে।

নিবন্ধনের জন্য ইসির আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৬টির মতো আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দল টেকে। এরপর অধিকতর বাছাইয়ে সেই তালিকা আরো ছোট হয়ে চারটিতে নেমে আসে, যেখানে গণ-অধিকার পরিষদের নামও ছিল।

চারটি দলের জন্য উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দল দুটিকে চূড়ান্ত করে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আপত্তি থাকলে তা জানানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ইসি।

তালিকা থেকে বাদ পড়া দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া ছাড়াও তালিকায় থাকা দল দুটির বিরুদ্ধেও আপত্তি জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত