পরিবারে নারীরা এখনো ভায়োলেন্সের শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, সন্তান জন্ম দেওয়ায় মায়ের ভূমিকা বেশি। তবে সেক্সুয়াল সিদ্ধান্তে মায়েরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। এমনকি গর্বের সন্তান মেয়ে হলে পরিবারে মায়ের প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দাদি এবং ননদরা। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিসেমিনেশন অব ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর প্রিভেনশন অব সন প্রিফারেন্স অ্যান্ড দ্যা রিস্ক অব জেন্ডার-বেসড সেক্স সিলেকশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বর্তমান সরকার কর্মক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। তারপরও যদি মেয়েরা ভায়োলেন্সের শিকার হয়, বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবাইকেই ভাবতে হবে। আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়ে হলো পরিবারের জন্য আশীর্বাদ। তাকে যদি সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়, তাহলে তারা নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পায়। তারা ছেলেদের তুলনায় কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই, বরং এগিয়ে। আমরা বই-পুস্তকের মাধ্যমে কিছু সচেতনতা তৈরি করছি। তবে এই বিষয়ে সকল অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই গর্বের সন্তান নষ্ট করার প্রবণতা কমে যাবে। তিনি বলেন, যারা ক্লিনিশিয়ান আছেন, যারা সেক্স ডিটারমিনেশন করে দেন, তাদের কিছু সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। একজন মায়ের আগে দুটি মেয়ে আছে, এবং এখন আবার তার মেয়ে সন্তান হচ্ছে শুনলে সেই মা ভায়োলেন্সের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য প্রয়োজনে বিষয়টি পরিবারকে জানানো উচিত হবে না। এতে করে গর্বের সন্তানটি অবিচারের শিকার হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা প্রমুখ।
