সুসংবাদ প্রতিদিন

অফ সিজনের টমেটো চাষে ঝুঁকছেন ফটিকছড়ির কৃষকরা

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো ও ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

শীতকালীন সবজি হিসেবে বেশ পরিচিত টমেটো। শীতের পরিবর্তে বর্তমানে গ্রীষ্মণ্ডবর্ষা মৌসুমেও টমেটো চাষের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। গ্রীষ্মণ্ডবর্ষা মৌসুমে টমেটো চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একদিকে যেমন অসময়ে বাজারে টমেটোর সংকট মিটানো যাবে, তেমনি কৃষকও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি বিভাগ। কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, বারি-৮ হাইব্রিড জাতের টমেটো খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। তার দামও রয়েছে বেশ ভালো। ফলে কৃষকরা অসময়ে (অফ সিজন) টমেটো চাষে ঝুঁকছেন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউপির অলিপুর গ্রামের সুবলছড়ি এলাকার কৃষক মো. ইকবাল হোসেন। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৪০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে সামার টমেটো (বারি-০৮) চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় তিনি গত জুনের শুরুতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ৩ হাজার ৫০০টি হাইব্রিড জাতের এই সামার টমেটোর চারা লাগিয়েছেন। তিনি চারাগুলো উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় রংপুর নাসিক নার্সারি থেকে সংগ্রহ করেন। চারা রোপণের ৪৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই গাছে ফুল ও ফল আসায় বেশ উৎফুল্ল কৃষক ইকবাল। তিনি জানান, ৪০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সামার টমেটোর চাষ করেছেন। এতে তিনি মালচিং পেপার ছাড়াও পোকামাকড় আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ৪০টি ইয়েলো ট্রেপ, চারটি চেরানং, গাছের গঠন ঠিক রাখতে ৪ হাজার (প্রায়) বাঁশের খুঁটি, রশি, সুতা, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে নেট মাচা ব্যবহার করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সরেজমিন দেখা যায়, পরিত্যক্ত অনাবাদি উঁচু জমিতে সামার টমেটোর চাষ করা হয়েছে। মালচিং পেপার ব্যবহার করায় আগাছা নেই বাগানে।

ফলে, টমেটো গাছগুলো বেশ পরিপক্ব হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের টমেটো। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, জমিকে উত্তমভাবে তৈরি করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বেড তৈরি করে সেখানে বীজ বপন করতে হয়। তারপর সে বেডগুলো মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে সামার (বারি-০৮) টমেটো একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। এ জাতটি ফলনও ভালো দেয় এবং বাজারে এটির চাহিদা ও দাম দুটি বেশি। যে জমিটিতে এ টমেটো চাষ করা হয়েছে জমিটি ছিল পতিত জমি। এ জমিটি এর আগে কয়েকজন লিজ নিলেও কেউ আলোর মুখ দেখেনি। প্রথমবারের মতো এ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে বাজিমাত করেছেন স্থানীয় কৃষক ইকবাল। তাকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা করা হয়েছে।