ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

ভার্জিনিয়ায় মৎস্যকন্যা

ভার্জিনিয়ায় মৎস্যকন্যা

মৎস্যকন্যাদের কথা কম বেশি শুনেছেন। এবার তাদের দেখা মিলেছে এক শহরে, আর সেখানে সাধারণ মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। কোমর থেকে পা পর্যন্ত রঙিন আঁশের মতো আবরণ। লাল-নীল-গোলাপি চুলের রং। ঠিকরে বেরোচ্ছে রূপ। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় দেখা মিলেছে মৎস্যকন্যাদের!

মৎস্যকন্যা। এই নাম মাথায় এলেই মনে পড়ে যায় হলিউডের অ্যানিমেশন ছবি ‘দ্য লিটল মারমেড’র কথা। সেই ছবির মৎস্যকন্যাদের রূপ অনেক সৌম্য। আবার অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে ‘দ্য শি ক্রিচার’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার’ বা ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ ছবির মৎস্যকন্যাদের কথা। সেই মৎস্যকন্যারা আবার ততখানি কোমল নয়। মৎসকন্যাদের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও তাদের বাস্তব অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ কখনো পাওয়া যায়নি। লোককথা বা পুরাণ থেকে শুরু করে সিনেমা, বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যাদের বিবরণ ছড়িয়ে রয়েছে। কল্পিত এই প্রাণীর শরীরের উপরিভাগ নারীর মতো হলেও শরীরের নিচের অংশ মাছের মতো। কিন্তু ভার্জিনিয়ায় যে মৎস্যকন্যাদের দেখা মিলল, তাদের রূপসী বই অন্য কিছু বলা যাবে না। ভার্জিনিয়ার এই মৎস্যকন্যারা কিন্তু আদপেও সত্যিকারের নন। পুরোটাই সাজানো। পুরোটাই বিশেষ এক অনুষ্ঠান (বলা ভালো, উৎসব)-কে কেন্দ্র করে আমোদের অংশ। ভার্জিনিয়ায় হওয়া এই অনুষ্ঠানের নাম ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’। ৩ থেকে ৫ মার্চ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মৎস্যকন্যার রূপে সেজেছিলেন শতাধিক নারী। ওয়াটার পার্কে প্রথম অনুষ্ঠান হয় ১৯৪৭ সালের ১৩ অক্টোবর। তারপর থেকেই সেখানে চলে আসছে ওই অনুষ্ঠান। বাচ্চা থেকে বুড়ো, মৎস্যকন্যাদের শো দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। মৎস্যকন্যা সাজতে মডেলরা আসতেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। মৎস্যকন্যার পোশাক পরে পানিতে নেচে বেড়াতেন তারা। পানির মধ্যে মৎস্যকন্যাদের নাচে আকৃষ্ট হতেন দর্শক। তবে ২০২০ সালে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত