ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুস্থতায় চাই পর্যাপ্ত ঘুম

সুস্থতায় চাই পর্যাপ্ত ঘুম

চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশের তথ্য মতে, সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঘুম খুব জরুরি। নিদ্রাহীনতা বা যারা শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ঘুমাতে পারেন না, তারা বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধায় ভোগেন। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম না হলে প্রতিদিন রুটিনমাফিক কাজকর্মেও অসুবিধা দেখা দেয়। তবে বয়সভেদে ঘুমের চাহিদা কিন্তু ভিন্ন।

ঘুমের জন্য যা প্রয়োজন : ঘুমানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন পরিবেশ তৈরি করা। শোয়ার ঘর, বিশেষ করে বিছানা যাতে ঘুমানোর উপযোগী হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। ঘুমানোর সময় ঢিলেঢালা সুতির আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। শোয়ার ঘর শুধু ঘুমানো ও বিশ্রামের জন্যই রাখতে হবে। অন্য কোনো কাজের জন্য নয়। মস্তিষ্ককে বার্তা দিতে হবে যে, বিছানায় যাওয়া মানে ঘুমানো। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি বিকেলের পর থেকে কোনো ধরনের উত্তেজক পানীয়, যেমন- চা বা কফি পান করা যাবে না। ধূমপান থেকেও বিরত থাকতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে ল্যাপটপ, টিভি ও ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। ঘুমানোর আগে ভারি ব্যায়াম করা যাবে না। ঘুমানোর আগে হাঁটাহাঁটি বা ভারী ব্যায়াম করলে ভালো ঘুম হবে- এ ধারণা কিন্তু ভুল। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। শরীর ও মস্তিষ্ককে জানান দিতে হবে যে প্রতিদিন রাতে আমি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাব। নেতিবাচক চিন্তা বা স্ট্রেস নিদ্রাহীনতার অন্যতম কারণ। যতটা সম্ভব এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

রাত জাগার ক্ষতিকর দিক : মানুষ হচ্ছে এমন প্রাণী, যে কি না সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে দেখতে পায় না। নিশাচর প্রাণীরা এ সময় ভালো দেখতে পায়। ফলে রাত আমাদের বিশ্রামের জন্য প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। রাতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় না ঘুমালে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস প্রভৃতি স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত