সুসংবাদ প্রতিদিন

আমবাগান করে সফল আমিনুল

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শখের বশে ঠাকুরগাঁওয়ের আমিনুল ইসলাম থাই বানানা আম বাগান গড়ে তোলেন। ইতোমধ্যে এই আম বাজারজাত করতে শুরু করেছেন তিনি। এবার আমের ফলন ভালো হওয়ায় ২৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করার আশা রয়েছে তার। এছাড়া তার বাগান থেকে কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ থেকে ২৫ জনের। ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম। ২০২০ সালে শখের বসেই তিনি তার গ্রামের বাসা সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া খলিশাকুড়ি গ্রামে আম বাগান শুরু করেন। পরের বছরে আমের ফলন ভালো হওয়ায় বাগানের আশপাশের জমি লিজ নিয়ে বাগানের পরিধি আরও বাড়ান। এখন তার বাগান ৬ একর জমির ওপর। বাগানে ২ হাজার ৩০০ আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে থাই ব্যানানা আম গাছই বেশি।

এছাড়া আম্রপালি ও বারি ৪ জাতের আম গাছও রয়েছে। ২০২২ সালে তার বাগান থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার আম বিক্রয় করেন তিনি। এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা করছেন তিনি। আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে নিজের জমিতে শখের বসেই আম বাগান করি। পরে দেখি আম বিক্রি করে ভালোই লাভ হচ্ছে, সেই সঙ্গে অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। পরে আশপাশের জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ শুরু করি। এর আগের বছর থাই ব্যানানা আম প্রায় ২২ লাখ টাকার বিক্রি করেছি। এ বছর যে আম রয়েছে তাতে ধারণা করছি প্রায় ২৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারব। কৃষি অফিস ও আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। কীভাবে আম গাছ ও আমের যত্ন নিতে হবে তারা এসে পরামর্শ দিত। তবে তারা আরও সহযোগিতা করলে আমি বাগানের পরিধি বাড়াতে পারব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, থাই ব্যানানা একটি বিদেশি জাতের আম। এই আমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমিনুল ইসলামের বাগানে আমাদের মাঠকর্মীরা নিয়মিত পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। এবার তার বাগানের কিছু আম প্যাকেটিং করা হয়েছে। এই আম আমরা বিদেশে রপ্তানির আশা করছি। এভাবে কৃষিতে সবাই এগিয়ে এলে আমাদের জেলা ও দেশের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারব আমরা।