জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৭১১ জন। ধারণক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকার পরও অনেক রোগী শয্যা না পেয়ে বারান্দা ও সিঁড়ির নিচে থাকছেন। জামালপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালটিতে ২৫০ রোগীর জন্য শয্যা থাকলেও প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় ২ হাজার রোগী। সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্ধারিত বেডের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি। হাসপাতালের নিচতলায়, ৩য় ও ৪র্থ তলায় ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতেও মাদুর বিছিয়ে শুয়ে আছেন অনেক রোগী। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় পাখা দিয়ে বাতাস করছেন রোগীকে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫০ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ২১৫। পুরুষ ও মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ৪৮ বেডের বিপরীতে ১২০ রোগী। পুরুষ ও মহিলা অর্থোপেডিক ও ইএনটি ওয়ার্ডে ৪৮ বেডের বিপরীতে ৭৫, এছাড়া শিশু ও স্কেনো ওয়ার্ডে ২৪ বেডের বিপরীতে ১৭৩ রোগী ভর্তি আছে। ২৫০ শয্যার বিপরীতে ৭১১ রোগী ভর্তি আছেন। সাধারণ রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে বেড না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। বারান্দায় পাখা না থাকায় তীব্র গরমে অসুস্থ হচ্ছে রোগীর স্বজনরাও।
ইসলামপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালের কোথাও জায়গা পায়নি। বারান্দাসহ রোগীতে ভর্তি। তাই সিঁড়ির মধ্যে পাটি (মাদুর) বিছিয়ে শুয়ে পড়েছি। আমার কাছে এখনো কোনো ডাক্তার বা নার্স আসেননি। শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. সেলিম মৃধা বলেন, শিশু ওয়ার্ডে বারান্দায়সহ অনেক রোগী ভর্তি আছেন। এখন বেশিরভাগ শিশুরা জ্বর ও পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। জায়গা না থাকায় রোগীরা ঠিকমতো থাকতে পারছে না। তবে চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে না। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ৭৩ জন চিকিৎসকের পদে ৪৯ জন চিকিৎসক রয়েছেন। প্রতি ওয়ার্ডে প্রতি শিফটে চার থেকে পাঁচজন নার্স থাকেন। জরুরি বিভাগে সব সময় একজন চিকিৎসক থাকেন। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা জায়গা না থাকা এবং চিকিৎসকের পদের চেয়ে চিকিৎসক কম থাকা।