কালীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুরুষশূন্য গ্রাম
আতঙ্কে জনজীবন
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাত-পরবর্তী সময়ে ওই ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি। লুটপাটের আশঙ্কা করছেন তারা। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ গোপালপুর গ্রামের গফুর মোল্যার ছেলে নাসিব মোল্যা ও একই গ্রামের মোস্ত মণ্ডলের ছেলে সুজন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালপুর গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই বুধবার বিকালে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে অহত হয়েছে সাতজন। আহতরা হলেন- উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্লার ছেলে শওকত মোল্লা, আলাউদ্দিন মোল্লা ও একই গ্রামের হাসেম মণ্ডলের ছেলে নজির মণ্ডল ও সেলিম মণ্ডল, গহর আলী ছেলে শাহজাহান, আকবার মোল্লার ছেলে সোহান মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে আমিরুল। স্থানীয়রা জানান, গত ২০ জুলাই রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্ল্যার ছেলে বাবলু মোল্ল্যা ওরফে ঘেনাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
ওই ঘটনার বিষয়ে উভয় পক্ষকে উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করছিলেন জামাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি। বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হওয়ার আগেই উভয় পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, অবস্থার অবনতি হলে তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, জামাল ইউনিয়ন পরিষদের দুই গ্রুপের সালিশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটে। জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের অবস্থান থাকবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছে।