৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন
বসানো হচ্ছে ১ হাজার ৪০৭ সিসি ক্যামেরা
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। এরইমধ্যে ১ হাজার ৪০৭টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের দিনপ্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালালে সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের দিন ভোটকক্ষের পরিস্থিতি মনিটরিং করার লক্ষ্যে ভোটকক্ষের মার্কিং প্রেসের (গোপনকক্ষের) বেষ্টনী কাপড়ে ভোটকেন্দ্র নম্বর ও কক্ষ নম্বর লেখা থাকবে। যাতে মনিটরিং কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটকেন্দ্র নম্বর ও কক্ষ নম্বর স্পষ্ট বোঝা যায়। এ ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ নম্বর দেখেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রেপ্তারের নির্দেশনাও আসতে পারে। এর আগে গাইবান্ধায় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ভোটের অনিয়ম ধরেছিল ইসি।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রার্থী যাতে উত্তাপ ছড়াতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে।
এদিকে, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ হন নারী ভোটার।
গত ৮ জুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৬ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৩ জুলাই। ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ জুলাই।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডা. আফছারুল আমীন এই আসনে টানা তিনবার বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ২ জুন আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।