অন্যরকম
গাছের নিরাপত্তায় ব্যয় ১৫ লাখ টাকা
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
এমন ‘ভিভিআইপি গাছ’ আছে, যার নিরাপত্তায় প্রতি বছর ১৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করছে কর্তৃপক্ষ। অশ্বত্থ এই গাছের দেখা মিলবে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়া সাঁচি কমপ্লেক্স থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে সালমাতপুরে একটি টিলায় সদর্পে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেটি। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা গাছটিকে পাহারা দেন চারজন নিরাপত্তারক্ষী। গাছের একটি পাতাও যেন অনাদরে শুকিয়ে না যায়, তার জন্য সারাক্ষণ পরিচর্যায় ব্যস্ত কর্মকর্তারা। এসব কারণে স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন ‘ভারতের প্রথম ভিভিআইপি গাছ’ এটি।
ভাবছেন কী আছে ওই গাছে? কেন এত আদর-যত্ন? ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপাকসে তার দেশ থেকে আনা অশ্বত্থ গাছটির চারা রোপণ করেছিলেন। গৌতম বুদ্ধ যে গাছের নিচে (বোধিবৃক্ষ) বসে বোধিলাভ করেছিলেন বলে বলা হয়, এটি সেই গাছেরই অংশ। সালমাতপুরে যে টিলায় গাছটি রয়েছে, সেটি সাঁচি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জায়গায়। পুরো এলাকাটি বৌদ্ধ সার্কিট হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলেই গাছটি এখানে লাগানো হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষক চন্দ্ররতনের মতে, বুদ্ধগয়ায় একটি অশ্বত্থ গাছের নিচে বোধিলাভ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। পরে গাছটি ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যান সম্রাট অশোকের কন্যা সংঘমিত্রা এবং অনুরাধাপুরমে রোপণ করেন। একই গাছের অংশ বিশেষই রোপণ করা হয়েছে সাঁচি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাছটির নিরাপত্তায় নিযুক্ত প্রহরীদের মাসে ২৬ হাজার রুপি করে বেতন দেওয়া হয়।
যেহেতু চারজন নিরাপত্তারক্ষী কাজ করেন, তাই মাসিক নিরাপত্তা ব্যয় দাঁড়ায় ১ লাখ ৪ হাজার রুপিতে। অর্থাৎ, গাছের নিরাপত্তা বাবদ বছরে খরচ হচ্ছে ১২ লাখ ৪৮ হাজার রুপি (১৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা প্রায়)। এ তো গেলো নিরাপত্তার কথা। এর বাইরে, গাছটিতে পানি দেওয়ার জন্য আলাদা ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছে সাঁচি পৌর কর্তৃপক্ষ। রোগবালাই থেকে রক্ষায় গাছটিকে প্রতি সপ্তাহে পরিদর্শনে যান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। আর এসব কার্যক্রম চলে জেলা কালেক্টরের তত্ত্বাবধানে।