ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সন্তানদের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে হবে

অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সন্তানদের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরো মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, শিশুদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া তাদের মেধা অনুযায়ী দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৩-এর ফলাফল উন্মোচনকালে তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চাদের অন্য ব্যক্তির বাচ্চাদের সঙ্গে তুলনা করবেন না বরং তাদের মেধা অনুযায়ী দক্ষতা বিকাশ করতে দিন।’

পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া সন্তানদের পড়ালেখায় মনোযোগী হতে অভিভাবকদের উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘তাদের তিরস্কার করবেন না, বরং তাদের আরো স্নেহ এবং ভালোবাসা দিন যাতে তারা তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে।’ শিক্ষা এমন একটি সম্পদ যা কেড়ে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা (শিক্ষা) সবসময় প্রয়োজন হবে। তাই শিক্ষার প্রতি আপনাদের (অভিভাবকদের) আরো আন্তরিক হতে হবে। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আপনার সন্তানরা কোথায় যায় এবং তারা কী করে সে দিকে মনোযোগ দিন।’

শেখ হাসিনা এবারের পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের আগামী বছরের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যর্থ ছাত্রদের বলব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হতাশা মানুষকে বেশি কষ্ট দেয়। বরং, আমি আশা করি তোমরা ভবিষ্যতে আরো ভালো উপায়ে সফল হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন।’ তিনি বলেন, ‘তুমি অকৃতকার্য হয়েছে কিন্তু যদি একটু মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা কর তবে তুমি ভাল ফলাফল পেতে পার।’ অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা যাতে ভবিষ্যতে ভালো ফলাফল করতে পারে সেদিকে শিক্ষকদের আরো মনোযোগী হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা তাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। শিক্ষার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে হবে এবং আমাদের শিশুরা যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘এরা (ছাত্র) আমাদের ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে আমাদের দক্ষ হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজকের ছাত্র হবে আগামী দিনের মূল ভূমিকা পালনকারী, যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান গ্রহণের পর ফলাফল প্রকাশ করেন। নয়টি সাধারণ, একটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ নিজ নিজ বোর্ডের ফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।

২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১০, ২৪, ৯৮০ জন বালক ও ১০, ৫৩, ২৪৬ জন বালিকাসহ প্রায় ২০, ৭৮, ২১৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সচিব সুলেমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত