নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মানুষ ২০০৮ সালে বিএনপিকে যে স্যাংশন দিয়েছে তা আর প্রত্যাহার হবে না
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলার মানুষ ২০০৮ সালে বিএনপিকে স্যাংশন দিয়েছে, এ স্যাংশন আর প্রত্যাহার হবে না। প্রতিমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দৌহিত্র সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর ৫৩তম জন্মদিন এবং ২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ’ উপলক্ষ্যে রংপুরের পীরগঞ্জে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকায় দেখেছি বিএনপিওয়ালারা যাচ্ছে কূটনৈতিক মহলে, আমেরিকায় দেন দরবার করছে, কখন স্যাংশন আসবে, কখন স্যাংশন আসবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসে। বিএনপি বলে বাংলাদেশ শেষ, শেখ হাসিনার সরকার শেষ। এই আমেরিকা আসতেছে, ইউরোপ আসতেছে।’ তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। অনেক সাংবাদিক এসেছিল। আমি বললাম তুমি ইম্পরট্যান্ট ব্যক্তি। তোমরা আমেরিকা যা বলো বাংলাদেশে তা হয়ে যায়। পিটার হাস বলল, না না এসব কিছু না। বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। স্পিকার একজন ডায়নামিক মানুষ।
প্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, তাহলে আর কিছু বাকি থাকে? দেখলাম বিএনপিওয়ালারা আর বাংলাদেশে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্যাংশনের কথা বলে না।
তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম তারা নিজেরাই স্যাংশন দেয়া শুরু করেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা তৈরি করছে। তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই দিনাজপুরে রিজভী আহমেদ বলেছিলেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। আমার বিরুদ্ধে স্যাংশন দিচ্ছে। এখন আর আমেরিকা ইউরোপের স্যাংশন দেয় না। এখন বলছে- এটার দরকার নেই। আমরাই স্যাংশন দিব। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বদলে গেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ডিজিটাল বাংলাদেশ। সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ। রংপুরে মঙ্গা ছিল, এখন আর মঙ্গা নেই। এই বদলে যাওয়ার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রংপুরে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছুতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যা দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করেছিলেন। সেটা ছিল সড়ক সেতু গাড়ি চলাচলের জন্য। প্রধানমন্ত্রী সেতুতে রেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস যুক্ত করেছেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষদের গ্যাস দেয়ার জন্য। কিন্তু খালেদা জিয়া ২০০১ সালের পরে বগুড়া পর্যন্ত গ্যাস দেয়ার পরে এদিকে গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্যাসলাইন বসিয়েছেন। এরইমধ্যে সৈয়দপুর পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ চলে এসেছে। আর কি বাকি আছে? রেল, বিমান যোগাযোগ চালু করেছেন, চিলমারী বন্দর চালু করেছেন। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।