বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি বিরুদ্ধে গতকাল দেশজুড়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে দলটির নেতারা বলেন, সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে চায়। এদের আগুন-সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাড়াতে হবে।
মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ : বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা সংলগ্ন এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হুমায়ুন কবির, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু (এমপি), সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না, ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু প্রমুখ। এ সময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি জ্বালাওপোড়াও ছাড়া আর কিছুই জানে না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দুর্নীতি করে দেশটাকে ভঙ্গুর বানিয়ে ছিল। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাই বিএনপি-জামায়াতকে জনগণ আর ভোট দেবে না। বিক্ষোভ মিছিল করে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ। এতে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবু, ৬৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল করে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ।
পুরান ঢাকার লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীল সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য জসিম উদ্দিন খান আযম, লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ খোকন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান বাবলা প্রমুখ। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই দেশের মানুষের ভাগ্যের বদল হয়েছে। শেখ হাসিনার অধীনে জনগণ শান্তিতে
আছে। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের শান্তি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না।
তারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে এ দিন প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ : ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক প্রমুখ। মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, একটি দলই এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। তারা হলো বিএনপি-জামায়াত। তারা এখন ভিসানীতির আওতায় পড়ার ভয়ে আছে। নিজে যখন মরব, তোরে নিয়াই মরব। এই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। আপনারা সজাগ থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবেন। তাই বলতে চাই, আগামী নির্বাচনেও আপনারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবেন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। এই শান্তি যারা নষ্ট করতে চেয়েছে যারা, তাদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।
ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সহ সভাপতি শামীম পারভেজ, মেহেদী হাসান, এনামুল হক তানান, রাকিব হোসেন, জয়নাল আবেদিন, তাহসান রাসেল, খাদিমুল বাশার জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, কামাল উদ্দিন রানা, সবুর খান প্রমুখ। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হোক, মাঠ থেকে এদের (বিএনপি) তাড়ানো পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তারা (বিএনপি) একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মতো সন্ত্রাসের স্পন্সর করে। আজ তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে, প্রমাণিত অপরাধ তারা করেছে।
মৎস্যজীবী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ : প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে মৎস্যজীবী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, কার্যকরি সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সাধারণ সমপাদক লায়ন শেখ আজগর নষ্কর, প্রচার সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ শফিউল শফিক, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক সাজেদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, রিজওয়ান আলী খান অনিক প্রমুখ।
