তৃণমূলে কর্মসূচি বাড়ানোর উদ্যোগ আওয়ামী লীগের
নির্বাচনি প্রস্তুতি
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমানে রেখে তৃণমূলে কর্মসূচি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পাঁচ মাস বাকি থাকতেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীনরা। ডিসেম্বরের শেষে জাতীয় নির্বাচন হবে গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা পর্যায়ে জনসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। আগামী ২ আগস্ট রংপুরে জনসমাবেশের মাধ্যমে এর সূচনা হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জনসমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, রংপুরে জনসমাবেশ ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও এ জনসমাবেশ সফল করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। রংপুরে জনসভায় আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য যেসব উন্নয়ন করেছে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে জনগণের কাছে আবারও নৌকায় ভোট চাইবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানতে চাইলে রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশে জনস্রোত নামবে। জনসমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত আমলে রংপুরের পরিস্থিতি কী ছিল, তা জনগণকে মনে করিয়ে দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রংপুরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রচুর অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। রংপুরে এখন আর মঙ্গা শব্দটি নেই।
এদিকে আগামী ছয় অগাস্ট গণভবনে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ। এই সভায় নির্বাচন ও বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনকে সামনে রেখে দলীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সভায় আওয়ামী লীগের সর্ব স্তরের জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এই সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বর্ধিত সভায় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। শান্তি সমাবেশ বা শোভাযাত্রা এগুলোর ভেতর দিয়েই রাজনৈতিকভাবে দল এবং সরকারের কর্মকাণ্ড আমরা তুলে ধরছি। এটা নির্বাচনের কৌশল। এটা কারো বিরুদ্ধে না, কাউকে ঠেকানোর জন্যও না। আগামী ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূলত দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কথা শুনবেন। আবার তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনাও দেবেন। মূল লক্ষ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনাও থাকবে। তবে আওয়ামী লীগ কখনও সংঘাতে বিশ্বাস করেনা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে কেউ হারাতে পারবে না।