টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-স্রেডার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক এ কথা বলেন। হাইকমিশনার বলেন, দেশে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়ানোর উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। উইন্ড ল্যাব, অফশোর উইন্ড গাইডলাইন, কার্বন প্রাইজিং ও ট্রেডিংয়ের ওপর সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষকবান্ধব মডেলে সোলার ইরিগেশন পাম্প পাইলাটিং করার আগ্রহ প্রকাশ করে স্রেডার সঙ্গে যুক্তরাজ্য কাজ করতে চায়। এ সময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, বহির্বিশ্বের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ, গভীর সমুদ্রে গ্যাস-তেল অনুসন্ধান, অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ, সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার মিনিগ্রিড, বিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুতায়নে সামাজিক পরিবর্তন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা, সঞ্চালন লাইন ও বেসরকারিকরণ, লাইফলাইন গ্রাহক, এনার্জি ট্রান্সমিশন, নেট মিটারিং সিস্টেম, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, এনার্জি মিক্স ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় করা হয়। রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দিনে দিনে বড় হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এ খাতে বিনিয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। লৌহ আকরিক বা লোহ খনির উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষ্কার জ্বালানি থেকে উৎপন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ আবশ্যক। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করতে পারে। এ সময় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল উপস্থিত ছিলেন।