বর্ষায় ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। এতে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটে। সাধারণত বর্ষার ব্যাধিগুলোর মধ্যে চোখের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এটি আমাদের চোখে অস্বস্তি এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারের তথ্য দেন, যা আপনাদের বেশ উপকারে আসবে।
গ্রিন টি : গ্রিন টি খনিজ, ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি চোখের ফোলা ভাব ও ব্যথা কমানোর পাশাপাশি আরাম বয়ে আনে। হালকা গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে প্রতিটি চোখের ওপর রাখতে পারেন। অথবা রেফ্রিজারেটরে এই টি ব্যাগগুলো ঠান্ডা করে আপনার চোখের ওপর ব্যবহার করুন।
মধু : মধু চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মধুতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার উপাদান রয়েছে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চোখের ব্যথা ও জ্বালা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
গোলাপজল : এ কাজে গোলাপজল খুবই উপকারী। এতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার এবং জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। গোলাপজল চোখকে শীতল রাখার পাশাপাশি পরিষ্কার করে।
আলু : আলুর শীতল স্পর্শ আমাদের চোখের জ্বালা কমাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এজন্য আলু পাতলা করে কেটে টুকরাগুলো রাতে ঘুমানোর আগে চোখের ওপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর সেগুলো সরিয়ে নিন। এতে চোখের ফোলাভাব এবং ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।
তুলসীপাতা : তুলসীপাতায় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। চোখের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি চোখের জ্বালা বা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে। তুলসীপাতা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে এই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
হলুদ : পুষ্টিগুণ এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য এই মসলার বেশ কিছু ওষুধি ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে, হলুদ চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। এটি চোখের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে।