ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

উদ্বোধন করা হলো দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড। গতকাল দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের সমাবেশ থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বেক্সিমকো পাওয়ার নির্মিত দুইশ’ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি চরের সাড়ে ছয়শ’ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় ও এশিয়ার অন্যতম বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। তিস্তা সোলার লিমিটেড নামের এই কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড।

তিস্তাপাড়ের লাটশালা এলাকায় বিশাল এই কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বসানো হয় সাড়ে পাঁচ লাখ সোলার প্যানেল। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সুন্দরগঞ্জের তিস্তাপাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১২২টি টাওয়ারের ১৩২ কিলো ভোল্টের ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নির্মাণ করা হয়েছে সাবস্টেশন, বসানো হয়েছে ইনভার্টারসহ সব ধরনের যন্ত্র। বন্যা, নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ ও চলাচলের জন্য সাত কিলোমিটার সড়ক। যার সুবিধা পাচ্ছেন স্থানীয়রা।

রংপুর সফরে এসে উত্তরের মানুষে জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। এ কেন্দ্র থেকে দিনে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।

প্রকল্পটি নিয়ে বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা রোডম্যাপ আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে, পরিবেশ রক্ষা নিয়ে। সরকার এটা নিয়ে অনেক কাজ করছে। বেক্সিমকো অনেক খাতে পাইওনিয়ার। আমরা মনে করি, এই রিনিউয়াবল এনার্জি সেক্টর ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আমরা এ খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেই। এই প্রকল্পটি শতভাগ বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানায় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পে অর্থায়নে আমরা দেশে প্রথম সুকুক বন্ড চালু করি। এ প্রকল্পে আমাদের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করছি।

এই প্রকল্প উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও ভূমিকা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অবদান রাখবে বলে মনে করেন শায়ান এফ রহমান।

বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জ্বালানি আমদানি কমাতে সরকারও এ খাতে জোর দিয়েছে। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বেক্সিমকো। উত্তরবঙ্গে আরো একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে দেশের শীর্ষ এই শিল্পগ্রুপ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত