ঢেকুর আমাদের নিত্যসঙ্গী। নিজের উঠলেও মানুষ সাধারণত অন্যের ঢেকুরের আওয়াজ পছন্দ করে না। তবে আওয়াজ শুনে যতই ভ্রু কুঁচকান না কেন, সেই ঢেকুর তুলেই এবার নজির গড়লেন এক তরুণী। সবচেয়ে জোরে ঢেকুর তোলার জন্য তার নাম উঠলো গিনেস বুকে। জোরে ঢেকুর তোলা নারীদের মধ্যে পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা কিম্বার্লি উইন্টার। ঠিক কতটা জোরে ঢেকুর তুলতে পারেন তিনি? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতে, ব্লেন্ডার (৭০-৮৯ ডেসিবল), বৈদ্যুতিক হ্যান্ড ড্রিল (৯০-৯৫ ডেসিবল), এমনকি কিছু মোটরসাইকেলের (১০০-১১০ ডেসিবল) আওয়াজও হার মানবে কিম্বার্লির ঢেকুরের কাছে। সম্প্রতি ১০৭ দশমিক ৩ ডেসিবল শব্দের ঢেকুর তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন এ তরুণী। ২০০৯ সাল থেকে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ইতালির ইলিসা ক্যাগনোনি (১০৭ ডেসিবল)। এক্ষেত্রে পুরুষদের রেকর্ডটি নেভিল শার্পের (অস্ট্রেলিয়া) দখলে। তিনি ২০২১ সালে ১১২ দশমিক ৭ ডেসিবলের ঢেকুর তুলেছিলেন। জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই জোরে ঢেকুর তুলতেন কিম্বার্লি। তার এই শব্দে রীতিমতো বিরক্ত হতেন স্বজনরা। বাবা-মাও তাকে কিছুটা আস্তে ঢেকুর তুলতে বলতেন। কিন্তু সেই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখাবেন বলে মনস্থির করেন ৩৩ বছর বয়সি এ তরুণী। এর জন্য নির্দিষ্ট খাবার-দাবার খেয়ে জোরে ঢেকুর তোলার নিয়মিত প্রশিক্ষণও শুরু করেন। অবশেষে গত এপ্রিল মাসে পান সাফল্য। কিম্বার্লি জানিয়েছেন, বিশ্বরেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করেছিল ঝালযুক্ত খাবার, সোডা এবং অ্যালকোহল। এগুলো খেয়েই বহুল আকাঙ্ক্ষিত ঢেকুরটি তুলছিলেন তিনি। অবশ্য শুধু পানি পান করেও নাকি জোরে ঢেকুর তুলতে সিদ্ধহস্ত এ তরুণী। কিম্বার্লির দাবি, এযাবৎকালে তার তোলা সবচেয়ে দীর্ঘতম ঢেকুরটি ছিল নয় সেকেন্ড স্থায়ী। এটি নিঃসন্দেহে লম্বা সময়, কিন্তু বিশ্বরেকর্ড গড়ার ধারের কাছেও নেই। রেকর্ড বলছে, বিশ্বের দীর্ঘতম ঢেকুরটি ছিল ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ড স্থায়ী (২০০৯ সালে তুলেছিলেন ইতালির মাইকেল ফোরজিওন)। অবশ্য এই রেকর্ডের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই কিম্বার্লির। তার কথায়, আমি দীর্ঘতম ঢেকুরের দিকে যেতে চাই না। আমি সবচেয়ে জোরে ঢেকুর তুলতে চাই।